Yoga Asanas
Yoga Asanas
Yoga with adriene, Yoga, Asanas, Yoga near me, Yoga for beginners, Yoga poses, Types of yoga , Yogasan for beginners , Yogasan for weight loss
ভূমিকা-
বর্তমানে yoga
asanas অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। দেশ-বিদেশে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান এবং প্রশিক্ষক yoga asanas প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় হঠযোগ-এর অনুসরণে ব্যায়াম বা আসন, প্রাণায়াম, ধ্যান ইত্যাদির। বেশিরভাগ মানুষ yoga asanas বলতে বোঝেন এগুলির অনুশীলন। কিন্ত এটি yoga asanas এক ক্ষুদ্র দিক মাত্র, yoga -এর ব্যাপ্তি, তাৎপর্য, সম্ভাবনা এই ব্রয়াণ্ডের মতোই অসীম। yoga
asanas এর সঠিক অনুশীলন আমাদের আধ্যাত্মিকতার সেই স্তরে পৌঁছে দিতে সক্ষম, যার চূড়ান্ত পরিণতি মোক্ষ’ প্রাপ্তি। “yoga asanas” -এর অপর একটি ব্যবহারিক দিক হল আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে এর ব্যবহার, বিশেষ করে আধুনিক জীবনশৈলীর প্রেক্ষিতে অর্জিত মানসিক চাপ, অবসাদ-উদ্বেগ-উত্তেজনার মতো সমস্যা ও তার পরিপ্রেক্ষিতে ক্রমশ বিবিধ জটিল দৈহিক সমস্যা তথা রোগব্যাধির নিরাময়ে yoga asanas অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে ইতিমধ্যেই প্রমাণিত ও বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। যদি নাগরিকরা সুস্থ থাকেন তবেই উন্নয়নের সফল উপভোগ করা। সম্ভব। তাই school পাঠক্রমে yoga asanas শিক্ষা ও আত্মবোধ বিকাশকে স্থান দিয়েছে। এই পাঠক্রমে আধুনিক জীবনশৈলী গড়ে তোলার জন্য বেশ
কিছু নতুন ধারণা ও প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন স্থান পেয়েছে।বিষয়বস্তুগুলি। যথোপযুক্ত তথ্য, চিত্রসহ প্রাসঙ্গিক আলোচনা সহজ সরল
ভাষায় উপস্থাপন করাহয়েছে
যোগশিক্ষা :
আত্মউপলব্বি ও বিকাশ’ blog টিতে. yoga asanas ব্যবহারিক উপকারিতা-সহ ‘yoga ’-এর উৎপত্তি, প্রকরণ, আধ্যাত্মিক দিক এবং বর্তমান সময়পর্বের প্রেক্ষিতে yoga asanas প্রাসঙ্গিকতা, সর্বোপরি সর্বাত্মক জীবনচর্চায় yoga asanas অসামান্য অনুকল প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন এককে আলোকপাত করা হয়েছে।
Yoga : Meaning and
initiation :
ভূমিকা (Introduction) : Yoga এক ধরনের আত্মিক অনুশাসন যার ভিত্তিমূলে আছে এর অতিসূক্ষ্ম বিজ্ঞান। দেহ ও মন এবং মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে সামঞ্জস্য সাধনই এর অভীষ্ট। yoga asanas নিহিত রয়েছে সুস্থ জীবনযাপনের কলা ও বিজ্ঞান। সামগ্রিকভাবে yoga asanas অনুশীলন জীবনের সকল স্তরে সমন্বয় আনে রোগ প্রতিরোধ, সুস্থতার বিকাশ ও জীবনশৈলীপ্রসূত একাধিক ব্যাধির নিয়ন্ত্রণেও Yoga
ভূমিকা সুবিদিত। সুস্থ দেহ-মনের গঠনে Yoga
কার্যকারিতা আজ বিশ্বের প্রায় সর্বত্র স্বীকৃতি পেয়েছে। | সজ্ঞানতার এক প্রাচীন কৃষ্টি, সচেতনতার বিজ্ঞান, সুসমঞ্জস্য মানসিক অবস্থা, কর্মক্ষেত্রে উৎকর্য প্রতিটি অনুষঙ্গই Yoga সঙ্গে আমাদের সম্যক পরিচিতি ঘটায়। এই বিস্ময়কর দিকগুলি যাতে সর্বত্র প্রসারিত হয়, Yoga দ্বারা যাতে বিশ্বের সকল মানুষ উপকৃত হন, সেটাই এই মুহূর্তে খুব জরুরি। মানবজাতির এই অমূল্য দিব্য আশীর্বাদকে জীবনচর্যায় অঙ্গীভূত করলে প্রতিটি মানুষই তার সাধারণত্ব অতিক্রম করে অসাধারণত্বের স্তরে পৌঁছোতে পারবেন। এজন্য বর্তমান পাঠক্রমে Yoga
উজ্জ্বল উপস্থিতি।
যোগ-এর অর্থ (Meaning of Yoga) :
সংস্কৃত ‘যুজ’ শব্দটি থেকে Yoga এর উৎপত্তি। সংস্কৃতে এর অর্থ হল ‘যুক্ত করা বা ‘মিলিত করা। ভারতীয় সংস্কৃতির গভীরে নিহিত এক আধ্যাত্মিক এবং কঠিন তপস্যার পদ্ধতি হিসাবেই সাধারণভাবে Yoga
পরিচিতি। শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ, সাধারণ ধ্যান এবং বিশেষ ধরনের দৈহিক ভঙ্গিমা-সহ কিছু যোগ প্রণালী আজ স্বাস্থ্যরক্ষা ও মানসিক চাপ হালকা করার জন্য বিশ্বজুড়েই অনুশীলন করা হয়। স্বনামধন্য পতঞ্জলি মুনি Yoga
ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছিলেন—“যোগাহ চিত্ত বৃত্তি নিরোধাই। এর অর্থ হল ‘যোগ মনের চাঞ্চল্য রোধ করে। চিত্ত অর্থাৎ মন। “বৃত্তি’-র অর্থ মনের প্রবৃত্তি এবং নিরোধ’ শব্দটির অর্থ বন্ধ করা।
Yoga with adriene, Yoga, Asanas, Yoga near me, Yoga for beginners, Yoga poses, Types of yoga , Yogasan for beginners , Yogasan for weight loss
yoga poses আত্মোন্নতির লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রয়াস। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের মানুষ শৃঙ্খলা মেনে উন্নততর জ্ঞানের সন্ধানে ব্রতী হয়েছে এবং নিজ সত্তা ও তার পারিপার্শ্বিকের ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চেয়েছে। ভারতেও তাই ঘটেছে যোগ প্রক্রিয়ার মধ্যস্থতায়। প্রক্রিয়াটি স্বরূপের উন্মোচনে ব্যক্তিত্বের ওপর সার্বিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ছাড়া আর কিছু নয়। ঋষি-যোগীদের এই সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা ও উপলব্বি আজকের দিনেও প্রত্যক্ষভাবে প্রাসঙ্গিক। গভীর প্রশান্তি অর্জন করে যাবতীয় সংশয়কে দূরে সরিয়ে জীবনের প্রকৃত অভিমুখের অন্বেষণে ঋষি-যোগীদের নিরন্তর সাধনা নিষ্ফল হয়নি। তারা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন যে, যে-কোনো মানুষ করুণা ও অনুকম্পায় আস্থাশীল হয়ে তার জীবনকে সুন্দর ও পরিপূর্ণ করতে সক্ষম। আর বিজ্ঞান ও কলার সাহায্যে উপলব্ধ এই জ্ঞানেরই আর এক নাম yoga । yoga বা yoga asanas, হল এক ধরনের আধ্যাত্মিক শৃঙ্খলা যা শরীর ও মনের মধ্যে সমন্বয় ঘটায়। সুস্থ সবল জীবনের জন্য যোগ হল একাধারে শিল্প ও বিজ্ঞান-নির্ভর শৃঙ্খলাবদ্ধ এক আচরণ। সাধারণ ও সামগ্রিকভাবে যোগের সুফল সুপরীক্ষিত ও সুপ্রমাণিত। রোগ মুক্তির একটি উপায় বা নীরোগ সুস্থ শরীরে বেঁচে থাকার আর এক নামই হল yoga বা yoga asanas . জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সম্প্রীতি ও সমন্বয় রক্ষায় এর জুড়ি নেই। মানুষের জীবনশৈলীর সঙ্গে সম্পর্কিত বহু অসুখ-বিসুখ বা রোগ নিয়ন্ত্রণ করে যোগ স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।।
‘যোগ’ শব্দের অর্থ জীবাত্মার সঙ্গে পরমাত্মার যোগ বা মিলন, ভক্ত ও ভগবানের মিলন। yoga বা yoga asanas হল এক ধরনের আধ্যাত্মিক শৃঙ্খলা যা শরীর ও মনের মধ্যে সমন্বয় ঘটায়। সুস্থ সবল জীবনের জন্য যোগ হল একাধারে শিল্প ও বিজ্ঞান-নির্ভর শৃঙ্খলাবদ্ধ এক আচরণ। সাধারণ ও সামগ্রিকভাবে যোগের সুফল সুপরীক্ষিত ও সুপ্রমাণিত। রোগ মুক্তির একটি উপায় বা নীরোগ সুস্থ শরীরে বেঁচে থাকার আর এক নামই হল yoga বা yoga asanas
যোগের ভিত্তি (Basis of Yoga) :
স্বাস্থ্যরক্ষা ও সুস্থ জীবনযাপনের রীতি গড়ে তোলার জন্য এদেশে বহু প্রাচীনকাল থেকেই গড়ে উঠেছে যোগচর্চার প্রথা। সনাতন এই বৈজ্ঞানিক প্রথার জন্ম এদেশে এবং বহু বছর যোগশিক্ষা আত্মউপলব্বি ও বিকাশ ধরে তা দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গেছে। বহু সহস্রাব্দ আগে প্রাচীন মুনি ঋষিরা যে যোগচর্চার সূচনা করেছিলেন তা এখন বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নতুন নতুন সমস্যার মোকাবিলায় যোগচর্চার উপকারিতা আজ একবাক্যে মেনে নিয়েছেন সকলে। যোগচর্চার পদ্ধতি সহজ সরল, এটি ব্যয়সাশ্রয়ী এবং জীবন যাপনে সুস্থতা বজায় রাখা বা মানসিক চাপ জনিত শারীরিক অসুস্থতা বা সাইকোসোমাটিক অসুখ বিসুখের চিকিৎসায় এটি অত্যন্ত কার্যকারীও বটে। এই কারণেই বিশ্ববাসী আজ যোগচর্চায় অত্যন্ত আগ্রহী হয়ে উঠেছে। দৈহিক মুদ্রা বা আসন, নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ (ব্রিদিং এক্সারসাইজ) এবং ধ্যান—একত্রে এই তিনটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির দেহের অন্তর্নিহিত শক্তিকে ধীরে ধীরে জাগ্রত করাই যোগচর্চার লক্ষ্য। সমাজের সব স্তরের মানুষ এখন যোগচর্চার সুফলগুলি সম্বন্ধে অবহিত। শরীরকে শুধু চাঙ্গা বা তরতাজা রাখাই নয়, বরং বিভিন্ন রোগ ব্যাধি প্রতিরোধ ও তার চিকিৎসাতেও যে যোগচর্চা অত্যন্ত কার্যকারী হয়ে উঠছে সে ব্যাপারেও সচেতনতা গড়ে উঠছে জনমানসে। মানসিক সমস্যা বা মানসিক চাপ থেকে সৃষ্ট অন্য যে-কোনো ধরনের শারীরিক অসুস্থতা বা সাইকোসোমাটিক অসুখ-বিসুখ প্রতিরোধে এই ধরনের রুগীর চিকিৎসায় যোগচর্চার উপযোগিতা উপলব্ধি করেছেন বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক মহল। যোগচর্চার কার্যকারিতা বহু বছর ধরে প্রমাণিত। এই পদ্ধতি যেমন সহজ-সরল, তেমনই ব্যয়সাশ্রয়ী। সুস্থ, স্বাভাবিক, মানসিক চাপমুক্ত জীবন যাপনে আট থেকে আশি সকলেই যোগচর্চার উপকারিতা পেতে পারেন। যোগের সাধন ভিত্তি এখানে সুপ্রতিষ্ঠিত। যোগচর্চা আজ শুধু আর ভারতের গণ্ডির মধ্যেই আবদ্ধ নেই। বিশ্বের বহু দেশের তরুণ সম্প্রদায় যোগচর্চা শুরু করেছে। যোগচর্চায় আসলে ধর্ম, বর্ণ, জাতপাত, অল, যা দেশকালের কোনো ভেদাভেদ নেই। এখানে সবাই স্বাগত। রাষ্ট্রসংঘ ২১ জুন তারিখটিকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস' হিসেবে ঘোষণা করেছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে শুধুমাত্র রোগব্যাধি বা জরার অনুপস্থিতি নয়, বরং সামগ্রিকভাবে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক মঙ্গলকেই বলা যায় স্বাস্থ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য এর সঙ্গে আবার একটি চতুর্থ মাত্রাও যোগ করেছে— ‘আত্মিক মঙ্গল’ অর্থাৎ শারীরিক, মানসিক, আবেগজনিত, সামাজিক এবং আত্মিক কল্যাণের মাধ্যমেই সামগ্রিকভাবে একটা সুস্থ জীবন যাপন সম্ভব। | আর এখানেই শুরু হচ্ছে যোগচর্চার ভূমিকা। এখানেই যোগের ভিত্তি। আমাদের শরীর, মন, আবেগ, তথা জীবনযাত্রার সামাজিক ও আধ্যাত্মিক দিকগুলিকে সামগ্রিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে যোগচর্চা আমাদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটায়; নিয়মিত যোগভ্যাসে দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে। এছাড়া নিয়মিত যোগচর্চার মাধ্যমে যুব সম্প্রদায় সুস্থ, স্বাভাবিক, মানসিক চাপমুক্ত এবং অর্থপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারে। একজন ব্যক্তির কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয় তারও শিক্ষা দেয় যোগ (পাঁচটি যম এবং পাঁচটি নিয়ম)। যোগচর্চার মধ্যে কোনো জটিলতা নেই। দৈনন্দিন জীবনযাত্রার রুটিনের মধ্যেই যে যার প্রয়োজন অনুযায়ী যোগচর্চা করতে পারেন।
Yoga with adriene, Yoga, Asanas, Yoga near me, Yoga for beginners, Yoga poses, Types of yoga , Yogasan for beginners , Yogasan for weight loss
যোগ শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য (Aims and objectives of
Yoga Education) :
যোগ শিক্ষার লক্ষ্য স্থির করে তার দর্শন। শিখন পদ্ধতির বিশেষ বা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলি নিয়ে আলোচনা ও নির্দেশ দান করে দর্শন। সন্দেহাতীত ভাবে যে কোনো ক্ষেত্রের লক্ষ্যের প্রধান উৎসস্থল হল তার দর্শন। যোগশিক্ষার লক্ষ্য স্থির করতে হলে নিশ্চিতভাবে যোগ শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তির গুণাবলিকে প্রাধান্য দিতেই হবে। তাই বলা যায়, এটি শুধুমাত্র মানুষের জীববিজ্ঞানগত জীবনের উপাদান নয়, মানুষের মানসিক, সামাজিক ক্ষোভিক ও আধ্যাত্মিক—সকল জীবনের অপরিহার্য উপাদান হল যোগশিক্ষা। বিভিন্ন ব্যক্তি যোগশিক্ষার লক্ষ্য সম্পর্কে তাদের মতামত দিয়েছেন।
ঋষি অরবিন্দর মতে—The current status of human
evolution is an intermediate stage in the evolution of being, which is on its
way to the unfolding of the spirit, and the self-revelation of divinity in all
things. Yoga is a rapid and concentrated evolution of being, which can take
effect in one life-time, while unassisted natural evolution would take many
centuries or many births. Aurobindo suggests a grand program called sapta
chatushtaya (seven quadrates) to aid this evolution.
যোগশিক্ষা এর প্রাথমিক চাহিদা হল পেশিগত সক্ষমতা, শারীরিক শক্তি, সহনশীলতা, রোগ প্রতিরাোধ ক্ষমতা, সঠিক দেহভঙ্গিমা, সুষম শারীরিক গঠন, চিত্তাকর্ষক ও দক্ষ অঙ্গ সঞ্চালন প্রভৃতি। বৃহৎ পেশি নির্ভর কার্যক্রম এবং তার সঙ্গে সুষম খাদ্যের জোগান ও দূষণমুক্ত পরিবেশ একত্রিত হলে তা শিশুর
পরিপূর্ণ বৃদ্ধি ও
বিকাশকে
সুনিশ্চিত করে। শারীরিক-যান্ত্রিক বা তাঙ্গিক-সক্ষমতা
বলতে
সাধারণত
বোঝায়
শরীরের
অভ্যন্তরস্থ বিভিন্ন তন্ত্রগুলির দক্ষতাপূর্ণ কার্যক্রম।
শ্রমসাধ্য শারীরিক কার্যক্রমে নিয়মিত এবং
নির্দিষ্ট সময় ধরে
অংশ
নিলে
তা
শ্বসনতন্ত্র, সংবহনতন্ত্র, পৌষ্টিকতন্ত্র, রেচনতন্ত্রসহ অন্যান্য
তন্ত্রকে
এমনভাবে
উত্তেজিত
করে
যে
তন্ত্রগুলি তাদের সর্বোচ্চ
সহনশীল
সক্ষমতা
নিয়ে
কার্য
করে
• যোগাভ্যাসের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য (Aims and Objectives of Yoga
Practice) :
যোগাভ্যাসের
লক্ষ্য
আত্মোপলব্বি যা মানুষকে
সবরকম
দুঃখ,
দুর্দশা,
ব্যথা,
যন্ত্রণার ঊর্ধ্বে উঠে
“মুক্তি’-র
(মোক্ষ)
পথ
দেখায়
দৈহিক
মুদ্রা
বা
আসন,
নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস
নিয়ন্ত্রণ (ব্রিদিং এক্সারসাইজ) এবং ধ্যান
একত্রে
এই
তিনটি
প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন
ব্যক্তির
দেহের
অন্তর্নিহিত শক্তিকে ধীরে
ধীরে
জাগ্রত
করাই
যোগচর্চার লক্ষ্য। বিভিন্ন যোগ
অনুশীলন
সম্পর্কে
ধারণা
সূদৃঢ়
করা
ও
নিজস্ব
জীবন
ও
জীবনশৈলীকে বুঝতে পারা। শিশুদের
মধ্যে
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও
জীবনশৈলী
গঠনে
সাহায্য
করা। শিশুদের
মধ্যে
মানব
মূল্য
বা
মূল্যবোধের সঞ্চার করা। শারীরিক
ও
মানসিক
স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন
করা। প্রত্যেক মানুষের
অধিকার
আছে
সুন্দর
স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া।
কিন্তু
এই
অধিকারের
ওপর
বিভিন্ন
ব্যক্তিকেন্দ্রিক, সামাজিক ও
পরিবেশগত
কারণ
প্রভাব
বিস্তার
করে।।
স্বাস্থ্য একটি ইতিবাচক
ধারণা।
ইতিবাচক
বা
সুস্বাস্থ্য বলতে শুধুমাত্র রোগহীন শরীর
গঠন
নয়,
উপরন্ত
এর
অর্থ
উদ্যমশীল
ও
উল্লসিত
মনোভাব
সৃষ্টি
করে
রোগ
প্রতিরোধক ক্ষমতাকে বৃদ্ধি
করা
যার
ফলে
আমরা
নির্দিষ্ট কোনো পরিস্থিতিতে অনাক্রমতা সৃষ্টি
করতে
পারি।
বর্তমানে
আমরা
রোগ
নিরাময়ে yoga
asanas আয়ুর্বেদ (ayurveda), ইউনানি
(unani), হোমিওপ্যাথি (Homeopathy) ইত্যাদি
দেশীয়
পদ্ধতি
ব্যববহার করি, ঠিক তেমনই
অ্যালাপ্যাথি (allopathy) বর্তমানের
সর্বাধিক
জনপ্রিয়
আধুনিক
পদ্ধতি।
রোগ
নিরাময়ে
যোগ
সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী বিনা
ওষধির
বিধি।
যোগ-এর
নিজস্ব
বিজ্ঞানসম্মত বিধিসমূহ রোগ
নিরাময়ে
মুখ্য
ভূমিকা
পালন
করে। মানসিক ও
শারীরিক
স্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনে যোগাভ্যাসপূর্ণ জীবনশৈলী খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।
সুতরাং
যোগকে
বর্তমানে
বিদ্যালয় পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করলে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং সুস্বাস্থ্যপূর্ণ জীবনশৈলী গঠনে অনুপ্রাণিত হবে। অর্থাৎ বিদ্যালয় শিক্ষায় যোগ-এর মূল উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীকে মানসিক, শারীরিক ও আবেগময়ভাবে সুস্থ জীবনশৈলী গঠনে উদ্বুদ্ধ করা। যোগ শারীরিক ভাবে শক্তি, ক্ষমতা, বল, সহষ্ণুতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যোগ একজন ব্যক্তিকে তার মনোসংযোগ, শান্তি, সন্তোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে মানসিক ও শারীরিক সমন্বয় সাধনে সাহায্য করে।
যোগ প্রশিক্ষণের পদ্ধতি ও প্রয়োগ (Process and application
of yoga in a modern approach) :
যোগচর্চার উপকারিতা আজ বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। উন্নততর জীবনযাত্রার সন্ধান পেতে যোগচর্চার দিকে আজ ঝুঁকছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। ভারতের এই সনাতন ঐতিহ্যের প্রতি তাদের আস্থা অটুট রাখতে গেলে এটা দেখা জরুরি যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের যোগচর্চায় ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে পথ দেখানো হচ্ছে কিনা বা তাদের প্রশিক্ষণ যথাযথ হচ্ছে। কিনা। এজন্য যোগচর্চায় দক্ষ এবং বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়েই প্রশিক্ষক দল গড়তে হবে। এই ধরনের ব্যক্তিদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে যারা যোগশিক্ষায় ইচ্ছুক তারা প্রাচীন ভারতের এই প্রথার পূর্ণ উপযোগিতা উপলব্ধি করতে পারবেন। এই ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ প্রয়োজন। প্রথমত, এজন্য এমন এক ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা প্রয়োজন যেখানে যোগচর্চাকারীদের দক্ষতার মূল্যায়ন করে তাদের শংসিতকরণের রীতি থাকবে। মূল্যায়নের সময় কোন্ যোগচর্চা করা প্রয়োজন এবং কীভাবে দক্ষতা প্রকাশ করা দরকার, তা অবশ্যই যাচাই করতে যাবে। আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত কোনও মানদণ্ডের সাহায্যেই দক্ষতার এই মূল্যায়ন সম্ভবপর হবে। জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে একজন পেশাদার যোগচর্চাকারীকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে। যথা— উপদেষ্টা (ইনস্ট্রাকটর), প্রশিক্ষক (টিচার) এবং মাস্টার বা আচার্য। মূল্যায়ন ব্যবস্থার কাঠামো এমন হবে যাতে একজন পেশাদার যোগচর্চাকারী উপদেষ্টা বা ইনস্ট্রাকটর থেকে আচার্যের স্তরে উন্নীত হতে পারেন। এই মূল্যায়নের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শারীরিক কসরৎ প্রদর্শনের চেয়ে তার অভিজ্ঞতার ওপর বেশি জোর দেওয়া হবে।
অন্যান্য উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে যোগ শিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বীকৃতিদানের জন্য উপযুক্ত কাঠামো গড়ে তোলা যাতে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলি যোগচর্চার ক্ষেত্রে ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা দক্ষতার বিভিন্ন শংসাপত্র প্রদান করতে পারে। যোগ অনুশীলনের মৌলিক পাঠদানের ক্ষেত্রে সব প্রতিষ্ঠানের মান যে সমান এমনটা নয়। জীবনকে সুস্থ, সুন্দর করে তোলার ক্ষেত্রে যোগচর্চার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার দিকে লক্ষ রেখে যেভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গজিয়ে উঠছে সেগুলিকে রোখা দরকার। তা না হলে প্রাচীন ভারতের এই ঐতিহ্যের ওপর বিরাট আঘাত আসবে। এই কারণেই উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বীকৃতি দিলে yoga asanas চর্চার মানের সঙ্গে আপস করছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলির বাড়বাড়ন্ত রোধ করা যাবে। yoga asanas চর্চা প্রতিষ্ঠানের শংসিতকরণ প্রকল্পের আওতায় চারটি স্তরে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলিকে শংসতিকরণের ব্যবস্থা রয়েছে।
Yoga with adriene, Yoga, Asanas, Yoga near me, Yoga for beginners, Yoga poses, Types of yoga , Yogasan for beginners , Yogasan for weight loss
যোগশিক্ষায় বিভিন্ন সমস্যা :
একজন শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষার্থী কতটা জ্ঞান আহরণ করছেন তার কী মূল্যায়ন বা পরিমাপ করা যায়? একজন পেশাদার যোগচর্চাকারীর দক্ষতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা এটাই। দ্বিতীয়ত, অন্যেরা কী কারও মনের ভেতরটা দেখতে পারে বা মূল্যায়ন ও পরিমাপ করতে পারে? একজনের মনের ভেতরে কী চাঞ্চল্য ঘটছে, না ঘটছে তার সম্যক উপলদ্ধি অন্যদের কীভাবে হবে?
যোগচর্চা আজ শুধু আর ভারতের গণ্ডির মধ্যেই আবদ্ধ নেই। বিশ্বের বহু দেশের তরুণ সম্প্রদায় যোগচর্চা শুরু করেছে। যোগচর্চায় আসলে ধর্ম, বর্ণ, জাতপাত, অঞ্চল, যা দেশকালের কোনো ভেদাভেদ নেই। এখানে সবাই স্বাগত। অর্থাৎ শারীরিক, মানসিক, আবেগজনিত, সামাজিক এবং আত্মিক কল্যাণের মাধ্যমেই সামগ্রিকভাবে একটা সুস্থ জীবন যাপন সম্ভব।
আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International Yoga Day) :
যোগের প্রতি বিশ্বজুড়ে সর্বজনীন আকর্ষণকে স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্রসংঘ ২১ জুন তারিখটিকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের উদ্দেশ্য যোগচর্চার সুফল নিয়ে সারা দুনিয়ার সচেতনতা বৃদ্ধি করা। ২০১৫ সালে ২১ জুন প্রথমবার আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদ্যাপনের সময় আন্তর্জাতিক মহল থেকে ইতিবাচক সাড়া মেলে .
Yoga for Harmony & Peace আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের প্রতীকচিহ্ন (লোগো)-এর তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করা যাক; হাত জোড় করা যোগের প্রতীক, আক্ষরিক অর্থে যোগ বা মিলন, ব্যক্তির চেতনার সঙ্গে সর্বাত্মক চেতনার মিলনের প্রতিরূপ; মন ও শরীর, মানব ও প্রকৃতির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ সংহতি; সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণের জন্য এক সর্বাত্মক অভিমুখ। বাদামি রংয়ের পাতা পৃথিবীর প্রতীকস্বরূপ; সবুজ পাতা অর্থাৎ প্রকৃতি; নীল রং জলের স্বরূপ; উজ্জ্বলতা অগ্নির প্রতীক; এবং শক্তি ও অনুপ্রেরণার উৎসের স্বরূপ সূর্য। এই প্রতীকচিহ্নের মাধ্যমে মানবজাতির জন্য সংহতি ও শান্তি প্রতিফলিত হয়, এটাই যোগের মুলমন্ত্র। এতে ২১ জুন তারিখটিরও উল্লেখ রয়েছে। প্রতীকচিহ্নের একেবারে নীচে লেখা আছে—“Yoga for Harmony & Peace অর্থাৎ ‘সংহতি ও শান্তির জন্য যোগ।
অষ্টাঙ্গযোগ বা রাজযোগ (Astanga Yoga or Raja Yoga) যোগশাস্ত্র মতে চিত্ত পাঁচ প্রকার। যথা—ক্ষিপ্ত, মূঢ়, বিক্ষিপ্ত, একাগ্র ও নিরুদ্ধ। রাজযোগের প্রবর্তক ঋষি পতঞ্জলির মতে চিত্ত নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আত্মোপলব্বিই মুক্তি লাভের উপায়। কিন্তু চিত্তকে সর্বাত্মক চেতনার অভিমুখে আনা সহজ কাজ নয়। পতঞ্জলি এই চিত্তকে শুদ্ধ, শান্ত স্থিরীকৃত করে আত্মোপলব্ধির অতিচেতন অবস্থায় পৌছানোর জন্য আটটি সোপানের নির্দেশ দিয়েছেন। তার এই যোগসাধনার সূত্রগুলি অষ্টাঙ্গযোগ (Eight Limbled Yoga) বলা হয়।
মহর্ষি পতঞ্জলির অষ্টাঙ্গযোগের অঙ্গ বা সাধনগুলি হল যম (Yama), নিয়ম (Niyama), আসন (Asana), প্রাণায়াম (Pranayama), প্রত্যাহার (Pratyahara), ধারণা (Dharana), ধ্যান (Dhyana) এবং সমাধি (Samadhi)। এগুলি দেহের প্রত্যঙ্গ অর্থাৎ তারা সবাই একই দেহশিক্ষার অন্তর্গত ও প্রতিটি অপরিহার্য। প্রত্যেকটির বিজ্ঞানসম্মত ও নির্দিষ্ট যুক্তিসম্মত ধাপ বিদ্যামান। পতঞ্জলি তার যোগসূত্রে দর্শন এবং যোগশিক্ষার সারমর্ম জুগিয়েছেন অত্যন্ত বৈজ্ঞানিক ও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে। আত্মশক্তি উপলব্বিই যোগের মূল উদ্দেশ্য। যে নিরাকার শক্তির উপস্থিতিতে আমরা জীবিত থাকি, যে শক্তি সমস্ত জীব ও জড়ের মধ্যে বিরাজমান, যে শক্তি সমস্ত বিশ্বব্ৰত্মাণ্ডে প্রকাশিত, সেই অনাদি ও অনন্ত শক্তি জীবদেহে আত্মা হিসেবে, পৃথিবীতে ঈশ্বর হিসেবে, বিশ্বব্ৰত্মাণ্ডে পরমাত্মা হিসেবে অভিহিত। এই শক্তির সম্যক উপলব্ধি ও নিয়ন্ত্রণই যোগের লক্ষ্য। এই পরম লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য যোগী বাইরের জগৎ ছেড়ে তার নিজের মধ্যেই আত্মোপলব্বির নিবিড় সাধনা করেন। আত্মার উপলব্বি হলে ঈশ্বর ও পরমাত্মার উপলব্বিও সম্ভব হয়। এরজন্য বিভিন্ন যোগী বিভিন্ন পদ অবলম্বন করেন।
Yoga with adriene, Yoga, Asanas, Yoga near me, Yoga for beginners, Yoga poses, Types of yoga , Yogasan for beginners , Yogasan for weight loss
সুস্থ জীবনযাপনে যোগচর্চা (Yogic practices for
healthy living) :
আধুনিক জীবনশৈলী ও যোগের দ্বারা সুস্বাস্থ্য—আধুনিক মানুষের জীবনশৈলী তার স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে একাধিক চ্যালেঞ্জ এনেছে। বিশ্বের সর্বত্রই আধুনিক জীবনশৈলী অসংখ্য মানুষের নানারকম রোগব্যাধির অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে। উদ্বেগ-উত্তেজনা, বেঠিক খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রম বিমুখ জীবনযাত্রায় ডেকে আনছে স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষমতার অবনতি এবং মানুষকে ডায়াবেটিস, হাঁপানি, হৃদরোগ, বিপাকীয় অসুস্থতা এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত করছে। প্রশ্ন হল এসব আধুনিক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানসূত্র কী যোগে নিহিত রয়েছে? যেহেতু এসব সমস্যার মূলে রয়েছে ভ্রান্ত জীবনশৈলী, তাই এগুলির প্রতিরোধে যোগের ভূমিকা খুব মূল্যমান। সেইসঙ্গে এটাও প্রমাণিত হয় যে, বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতাকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখা ঠিক নয়। জীবনশৈলী ও মানসিক চাপজনিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধানসূত্র যোগে রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ, বিশেষ করে মানসিক চাপজনিত ব্যাধিগুলির সুষ্ঠু পরিচালনা এবং সুস্বাস্থ্যের বিকাশে যোগের বৈজ্ঞানিক অবদান নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে গবেষণা-সমীক্ষা সম্পাদিত হয়। স্বাস্থ্যের ওপর যোগের কল্যাণকর প্রভাব কতটা সেটা জানার জন্য শারীরবৃত্ত সম্পর্কিত, জৈব রাসায়নিক, মানসিক ও ক্লিনিক্যাল ভেরিয়েবল বা ভেদগুলিকে নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার সাহায্যে খতিয়ে দেখা হয়। গবেষণার ফলাফল প্রমাণ করেছে যে অনুশীলনকারীর স্নায়ুতন্ত্র ও অন্তঃক্ষরা ব্যবস্থাকে চালিত করে তার স্বাস্থ্যের কোশঘটিত ও আণবিক দিকগুলির ওপর যোগ অনুকূল প্রভাব ফেলে থাকে।
যোগচর্চার ফলে মানবদেহে সুপ্রভাবের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় দিক-এর একটি তালিকা দেওয়া হল
•বর্ধিত নমনীয়তা। • বর্ধিত পেশিশক্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য। • উন্নত শ্বাসক্রিয়া, কর্মশক্তি ও জীবনীশক্তি।। • মেটাবলিজম বা বিপাকক্রিয়ার ভারসাম্য। • দৈহিক ওজন হ্রাস। • হৃদযন্ত্রের সুস্থতা। • খেলাধুলায় উন্নততর মান।
যোগচর্চার ফলে মানবদেহে মানসিক ও আত্মিক সুপ্রভাবের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় দিক-এর একটি তালিকা দেওয়া হল
• উদ্বেগমুক্ত হালকা মনের স্বাচ্ছন্দ্য।
•মনঃসংযোগ বা বর্তমান মুহূর্তের গভীরতর মূল্যায়নে সার্থকতা।
• মন ও চিন্তা-ভাবনার ওপর প্রভুত নিয়ন্ত্রণ।
• মানসিক স্বচ্ছতায় উন্নতি। • একাগ্রতা ও অভিনিবেশ ক্ষমতা বৃদ্ধি।
• আত্ম-শৃঙ্খলায় উন্নতি। • কল্পনাশক্তি ও সৃজন ক্ষমতার (বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে) সম্প্রসারণ।
• মনমেজাজ ও মানসিক তৃপ্তির উন্নতি।
• আত্ম-চেতনা বৃদ্ধি। • আত্ম-বিশ্বাস বৃদ্ধি।
• আরও বেশি অশাবাদী হওয়া।
• মানসিক দৃঢ়তা ও ইচ্ছাশক্তি বৃদ্ধি।
• স্নায়ুমানসিক অসুস্থতার (স্কিটজোফ্রেনিয়া ও এডিএইচডি-সহ) বিভিন্ন উপসর্গ
নিয়ন্ত্রণ।
• উদ্বেগ-উত্তজনা ও বিষণ্ণতার বিভিন্ন উপসর্গ হ্রাস।
• আত্ম-জ্ঞানের অনুপ্রেরণা।
• দেহের শক্তিকেন্দ্রগুলির উজ্জীবন।
• প্রাত্যহিক জীবনে সদর্থক অভিজ্ঞতার আরও বেশি প্রতিফলন।
• নিজের জীবনের অর্থ বা লক্ষ্য সম্পর্কে সঠিক সন্ধান পাওয়া।
Yoga with adriene, Yoga, Asanas, Yoga
near me, Yoga for beginners, Yoga poses, Types of yoga , Yogasan for beginners
, Yogasan for weight loss
YOGA ASANAS
* yoga asanas অভ্যাসের উদ্দেশ্য :
সাধারণত শরীরকে সুস্থ রাখা, রোগাক্রান্ত শরীরকে ব্রোগমুক্ত করা এবং পরমাত্মার সঙ্গে জীবাত্মার মিলন সাধিত করা।
• আসন দু’প্রকার : (১) ধ্যানাসন ও (২) স্বাস্থ্যাসন। এছাড়া আরও অনেক মুদ্রা আছে। কিছু আসন ও মুদ্রা আছে যা অধিক প্রচলিত, স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের অভ্যাসযোগ্য এবং ফলপ্রদ, এমন ১৯টি ধ্যানাসন, ৩২টি স্বাস্থ্যসন, ১৩টি মুদ্রা এবং ৭টি ধৌতি, মোট ২১টি। এই সবই নীলমণি দাশ, আয়ন ম্যান প্রণীত ‘সচিত্র যোগ ব্যায়াম’ গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রাণায়াম।
যে সকল বৃক্ষের শাখা-প্রশাখা যত কম তাদের উচ্চতা তত বেশি। যেমন—তাল, নারকেল ইত্যাদি। আর প্রাণায়াম অভ্যাসেও আমরা আমাদের বিক্ষিপ্ত মনের বিস্তারকে কমিয়ে, মনের বিস্তার নীল মহাকাশের মতো বহুদূর বিস্তৃত করতে পারি।
নিয়মিত আসন অভ্যাসে শরীর ও মন প্রাণায়াম অভ্যাসের উপযোগী হয়। প্রাণ বায়ুকে আয়ত্ত করার জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের সংযমকে প্রাণায়াম বলে। প্রাণবায়ুর আয়াম বা বিস্তারই প্রাণায়াম। এই আয়াম তিনটি পর্যায়ে হয়ে থাকে—(১) পূরক (2) রেচক ও (৩) কুম্ভক। প্রাণায়ামকে আবার চারভাগে ভাগ করা যায়। যথা—(১) সহজ প্রাণায়ম (২) লঘু প্রাণায়াম (৩) বৈদিক প্রাণায়াম ও (৪) রাজযোগ প্রাণায়াম।
কয়েকটি ধন্যাসনের নাম- পদ্মাসন, সিদ্ধাসন, সুখাসন।
কয়েকটি স্বাস্থ্যাসনের নাম - স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্যে আমরা যে আসন করি সেটাই স্বাস্থ্যাসন।
পদ্মাসন ,বজ্রাসন, উষ্ট্রাসন, ধনুরাসন, ভুজঙ্গাসন, চক্রাসন, পদহস্তাসন, পশ্চিমোত্তানাসন ,বীরভদ্রাসন, অর্ধচন্দ্রাসন।
প্রাণায়াম-এর উপকারিতা?
- 1.শারীরিক ও মানসিক শান্তি লাভ করা যায়।
- 2. স্নায়বিক দুর্বলতা বা চাপ হ্রাস পাওয়া যায়।
- 3. রক্তে অক্সিজেন-এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
- 4.শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়।
- 5. ব্যক্তির জীবনযাত্রায় আসে নানা সদর্থক পরিবর্তন(Positive Changes).
- 6. মানসিক চাপ, নানা কুসংস্কার, কুচিন্তা দূর করে।
- 7. প্রাণশক্তির বিকাশ ঘটায়।
- 8. ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
- 9. একাগ্রতা আনে।
- 10.শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়ার ফলে আমাদের শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং কার্বোন-ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়। সুস্বাস্থ্যের জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি।
- 11.সঠিক ভাবে শ্বাস প্রশ্বাস করলে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এর ফলে ব্যক্তি উৎসাহ ও শক্তিতে ভরপুর থাকে।
- 12.মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন প্রাণায়াম করা উচিত।
- 13.ঘুমের সময় ও গুণমান বৃদ্ধি করে প্রাণায়াম।
ভদ্রাসনের উপকারিতা(Benefits Of Bhadrasana)--
- ভদ্রাসন সম্পাদন আমাদের নীচের পিছনের পেশী শক্তিশালী করতে সহায়তা করে, এভাবে মাঝে মাঝে ব্যথা এবং অস্বস্তি থেকে মুক্তি দেয়।
- এটি সায়িকাটিকা দ্বারা সৃষ্ট ব্যথা উপশম করতেও সহায়তা করে।
- ভদ্রাসন সম্পাদন জাং এবং পায়ের পেশী এবং আমাদের নিতম্ব, হাঁটু এবং গোড়ালিগুলির চারপাশের পেশীগুলির নমনীয়তা বাড়াতে সহায়তা করে।
- উরু বস্তিপ্রদেশ ও কুচকির স্নায়ু পেশি প্রসারিত হয় ।
- মাসিকের সময় বেদনা, মাসিক আদৌ না হওয়া, অতি অল্প মাসিক, অতিস্রাব, শ্বেতপ্রদর, অনিয়মিত মাসিক ও স্বপ্নদোষে উপকারী।
- মায়েদের বস্তি প্রদেশের স্নায়ু মন্ডলী সবল হয় ফলে সন্তান প্রসব কালে কষ্ট পেতে হয় না।
- এই আসন অভ্যাসে স্ত্রী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের ব্রহ্মচর্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- থাই এর মেদ কমে।
- মূলাধার চক্রকে সক্রিয় করে।
পদহস্তাসন ও চক্রাসন এর উপকারিতা কি ?
- আসনটি মেরুদণ্ডের হাড়ের জোড় নমনীয় রাখে।
- মেরুদণ্ড-সংলগ্ন স্নায়ুমণ্ডলী ও তার পাশের পেশী সতেজ ও সক্রিয় রাখে।
- বুকের পেশী ও পাঁজরের হাড় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং বুক সুগঠিত করে।
- চক্রাসনের সঙ্গে পদহস্তাসন ও শশঙ্গাসন অভ্যাস রাখলে কোনদিন লাম্বার স্পন্ডিলোসিস বা স্লিপড্ ডিস্ক জাতীয় কোনও রোগ হতে পারে না।
- মেরুদণ্ড-সংলগ্ন স্নায়ুমণ্ডলী ও তার পাশের পেশী সতেজ ও সক্রিয় রাখে।
- বুকের পেশী ও পাঁজরের হাড় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং বুক সুগঠিত করে।
- হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- আসনটি অভ্যাসের সময় দেহের মধ্যভাগে প্রচণ্ড চাপ পড়ে বলে ঐ অঞ্চলের পেশী, স্নায়ুজাল সবল ও সক্রিয় থাকে এবং পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্র, প্লীহা, যকৃৎ খুব ভালো কাজ করে।
- যাদের বুক বয়স অনুযায়ী সরু ও অপরিণত, তাদের এ আসনটি অবশ্য করা উচিৎ।
- আসনটি অভ্যাসে দেহের মধ্যভাগের অপ্রয়োজনীয় মেদ দূর হয়, মনের চঞ্চলতা দূর করে এবং স্বভাবে ধৈর্য বৃদ্ধি করে।
- কোনও স্ত্রী-রোগ বা পেটের রোগ সহজে আক্রমণ করতে পারে না।
- ডায়াবেটিস, ক্ষুধামান্দ্য, পেটের অসুখ, অজীর্ণ, সায়েটিকা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, কোলাইটিস, পেটে মেদ, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ, লম্বা হওয়ার প্রয়োজনে, সাইনাসাইটিস ইত্যাদিতে উপকারী।
.শলভাসনের উপকারিতা-
- কোষ্ঠবদ্ধতা, ক্ষুধামান্দ্য, কোমরের ব্যথা, সায়াটিকা, স্পন্ডিলোসিস, স্নায়বিক দুর্বলতায় ফলদায়ক।
- হিব বা নিতম্ব পেশি মজবুত করে ব্যথা সারাতে সাহায্য করে।
- দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কাজ করতে বা দীর্ঘ পথ হাঁটতে কষ্ট হয় না।
- সায়াটিকার ব্যথা আরোগ্য হয়।
- পেট ,পিট ও কোমরের গঠন ভালো হয়, অতিরিক্ত মেদ কমায়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হজম ভালো হয়।
- শলভাসন মেয়েদের পক্ষে বিশেষ উপকারী।
উষ্ট্রাসন, ধনুরাসন -
পদ্মাসন ,বজ্রাসন -
ভুজঙ্গাসন -
পশ্চিমোত্তানাসন -
বীরভদ্রাসন-
অর্ধচন্দ্রাসন-
সূর্য নমস্কার এবং এর উপকারিতা-
শক্তি একটি শব্দ এলাকা এবং একটি ছাঁটাই অনুরূপ. যদি আপনি দৃঢ় হন, আপনি আসলে যথাযথভাবে মনোনিবেশ করতে, আউটিংয়ে যেতে বা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চান। পুরাতন ঋষিদের দ্বারা প্রদত্ত যোগাসনের অনুদানের কারণে, আপনি শক্ত থাকতে পারেন এবং দীর্ঘ অস্তিত্ব থাকতে পারেন। এই নিবন্ধটি সূর্য নমস্কারের তাত্পর্য এবং সুবিধা দেয়, সূর্য নমস্কারের সময় শেষ করতে হবে এমন মন্ত্র .সূর্য নমস্কার করা সূর্য নমস্কার পূর্ব থেকে ভোরের মৃদু দিনের আলোর মুখোমুখি হয়ে শেষ করা উচিত।
সূর্য নমস্কারের উপকারিতা
- এটি শরীরের উল্লেখযোগ্য অঙ্গগুলির আপেক্ষিক সংখ্যার রক্তের গতিপথকে আরও বিকাশ করে।
- হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কাজের উপর কাজ করে।
- বাহু ও পেটের পেশীকে শক্তিশালী করে।
- মেরুদণ্ড এবং মিডরিফকে আরও অভিযোজিত করে তোলে।
- মধ্য-অঞ্চলের চারপাশে চর্বি কমাতে সাহায্য করে এবং তাই ওজন হ্রাস করে।
- আরও প্রক্রিয়াকরণ বিকাশ করে।
- .আরও ফোকাস পাওয়ার বিকাশ করে।
No comments