Header Ads

Sundarban tourism,west bengal tourism online booking

 

 Sundarban tourism,west bengal tourism online booking

Sundarban tourism


ভূমিকা (Introduction):  

 Sundarban tourism,west bengal tourism online booking লেখাটি আমার সুন্দরবনে ঘোরার অভিজ্ঞতা থেকে তুলে আনা এক সরল বর্ণনা নদী পথে ঘুরতে ঘুরতে যেসব দৃশ্য চোখে পড়েছে তা mobile ক্যামেরায় তুলে গেথে নিয়ে সুন্দরবনকে বোঝাতে সাহায্য করা হয়েছে বিশেষ করে যেসব পর্যটক  সুন্দরবন ভ্রমণে ইচ্ছুক, তারা ব্লগটি পড়ে অনেক বিষয়ে আগ্রহী হবেন সুন্দরবন নিয়ে অনেক বই লেখা হয়েছে, কিন্তু সহজ সরলভাবে সুন্দরবনের গাছপালা, জীবজন্তু, হোটেল ,যোগযোগ ব্যবস্থা  বর্তমান সুন্দরবন পরিদর্শন কীভাবে করব তা জানবার তেমন গাইড-বই চোখে পড়েনি এই ব্লগটি অনেকাংশে তার অভাব মেটাবে ব্লগটিতে ব্যবহৃত বেশিরভাগ ছবি ক্যামেরাবন্দী করেছি আমি ও আমার বন্ধুরা 

সুন্দরবনের ভৌগোলিক অবস্থান (Geographical location of Sundarban) :

ভারতীয় সুন্দরবনের ভৌগোলিক অবস্থান  কর্কটক্রান্তির সামান্য দক্ষিণে 21.53° থেকে 22.3° উত্তর অক্ষাংশ সামান্য দক্ষিণে 21.3° থেকে 22.3° উত্তর অক্ষাংশ এবং 88.51° থেকে 9.51° পূর্ব দ্রাঘিমার মধ্যে তার পশ্চিমে হুগলী নদী, পূর্বে ইছামতী, রায়মঙ্গল, কালিন্দী এবং সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মাতলা, গােসাবা, ঠাকরান প্রভৃতি নদী উত্তর দিকে কাল্পনিক  Dampier-Hodges রেখা দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর

Sundarban tourism


সুন্দরবন নামকরন-

 Sundarban tourism,west bengal tourism online booking  সম্বন্ধে জানতে গেলে আগে জানতে হবে সুন্দরবন নামটা কোথা থেকে এলো আগেকার দিনের বিদেশিরা সমুদ্রের ওপর দিয়ে পাল তোলা জাহাজ   নিয়ে ভাসতে ভাসতে যাবার সময় দেখতে পেত সমুদ্রের গায়েই ঘন সবুজ গাছে ভরা একটা জঙ্গল বা বন, যা তাদের বড়োই  সুন্দর লাগত সেই থেকেই হয়তো সুন্দরবন নামটা এসেছে তবে সুন্দরী গাছের বন থেকে সুন্দরবনএটাই বেশি প্রচলিত সুন্দরী ছাড়া, বানী বা বাইন, গোলপাতা, কেওড়া, খলশে, কাকড়া, গরাণ, গর্জন, হেতাল ইত্যাদি বড়ো গাছ আর নদীর পাড়ে ঘাস জাতীয় ধানী গাছ সবই নােনা জলে বেঁচে থাকে, তাই এদের বলে লবণাম্বু (লবণ = নােনা, অম্বু = জল) গাছ আর এই জঙ্গলকে বলে বাদাবন বা ম্যাংগ্রোভ ফরেস্ট (Mangrove Forest)




 সুন্দরবনের নদীপথে যেতে যেতে চোখে পড়ে প্রচুর খাঁড়ি বা  সরু নালা, জঙ্গলের ভেতরে ঢুকে গেছে এই খাঁড়িগুলােই চওড়া হয়ে হয়ে একসময় খালের আকার ধারণ করে তাই সুন্দরবন জুড়ে অনেক খাঁড়ি ঝড়খালি, সুধন্যখালি, পীরখালি, সজনেখালিখাঁড়িতে স্থানীয় লােকেরা মাছ কাঁকড়া ধরতে মধু সংগ্রহের জন্য প্রাণ হাতে করে জঙ্গলের গভীরে  যায় কারণ জঙ্গল থেকে প্রায়শই বাঘ বেরিয়ে মানুষজনের ক্ষতি করে সুন্দরবন থেকে কাকড়া দেশ-বিদেশে  চালান হয়। সুন্দরবনের মধু জগৎবিখ্যাত

 

Sundarban tourism,west bengal tourism online booking

সুন্দরবনের ভূপ্রকৃতি (Climatic condition of Sundarban) :

পৃথিবী বিখ্যাত জোয়ারের জলে দিনে দুবার মত ম্যানগ্রো অরণ্যের সুন্দরবন প্রধানত আর্দ্র-ক্রান্তীয় বনভূমি (Tropic Humid Forest) পরিবেশ বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সুন্দরবন একটি অনন্য অব গতিশীল বাস্তুতন্ত্র পলিসমৃদ্ধ সুন্দরবনের বদ্বীপ গুচ্ছ দেখতে নীচু চাতালের মতাে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সামান্য উঁচু সুন্দরবনের তাপমাত্রা থেকে 35°C-এর মধ্যে থাকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 160 থেকে 200 সেন্টিমিটারের মতাে ভারতীয় সুন্দরবনের আয়তন প্রায় 1000 বর্গকিলােমিটার যার মধ্যে রয়েছে 102টি দ্বীপ এর মধ্যে মানুষ বাস করে 54টি দ্বীপে  গঙ্গা তার শাখানদীগুলি থেকে আসা  বর্ষার মিষ্টি জলে মাটির লবণাক্ততা কমে গিয়ে এই ঘন সবুজ ম্যানগ্রোভস-এর অস্তিত্ব সুন্দরবন

জীবপ্রজাতি বা  জীববৈচিত্র্য:

 পৃথিবী বিখ্যাত বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্যের আছে প্রায় 26টি প্রজাতির ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ, 29টি প্রজাতির ম্যানগ্রোভ সহযােগী উদ্ভিদ, 29 টি প্রজাতির ব্যাক ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ, প্রাণী গােষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম প্রধান হল Royal Bengal Tiger 274টি (2004-এর গণনা অনুযায়ী), অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণী, প্রায় 170টি প্রজাতির পাখি, 58টি প্রজাতির মাছ এবং বিভিন্ন অমেরুদণ্ডী প্রাণী 

Sundarban tourism


 Sundarban tourism,west bengal tourism online booking
সুন্দরবন পরিদর্শন (Visit to Sundarban forest) :






 প্রথমেই বলি সুন্দরবন ভ্রমণ করার জন্য অল্প খরচের মধ্যে থাকতে হলে আপনাকে অবশ্যই কোন ট্রাভেল এজেন্সির সাহায্য নিতে হবে তার অন্যতম কারণ সুন্দরবন ভ্রমনের বেশিরভাগ সময় বা যাবতীয় দেখার বা উপভোগ করার জন্য বোর্ড বা লঞ্চ দরকার হয় যা দুজন তিনজনের জন্য ভারতের সাপেক্ষ ভাবে এছাড়া সেই অর্থে কোন বাজার বা মার্কেট এবং হোটেল নেই যার জন্য আপনি নিজে গিয়ে হোটেল করলেন এবং বাজার থেকে খাবার কিনে বই খাবার কিনলেন এইসব হবে না যা সাধারণত উন্নতির ক্ষেত্রে বা ভ্রমণ স্থানের হয় যেমন দীঘা পুরী ইতালিতে ট্রাভেল এজেন্সি সঙ্গে কন্টাক্ট করাই শ্রেয় আমরা বন্ধুরা মোট 13 জন তারাপীঠ থেকে 08/04/2022 তারিখে রওনা হয়ে রাতের ট্রেনে এসে ভোর নাগাদ শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছে আমরা আগেই Sundarban Tiger Roar Resort - Resort &Tourism in sundarban travel egency  book করেছিলাম  দু রাত্রি তিন দিন প্যাকেজটা মোটামুটি এরকম----

যাত্রা শুরু আমাদের 09/04/2022 তারিখ সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ট্রাভেল এজেন্সির গাড়ি এলো স্টেশনে ।শিয়ালদা স্টেশনের বাইরে অপেক্ষামান রত ছিলাম ,গাইড কাম ম্যানেজার সুকান্ত দা  তিনি পরিচয় পর্ব সেরে নিয়ে গাড়ি ছাড়তে বললেন ।



গাড়ি চলতে লাগল বাসন্তী হাইওয়ে ধরে গদখালীর উদ্দেশ্যে, গদখালী হলে এখানকার প্রধান নদী ঘাট। যেত যেতে প্রথমে  স্যান্ডউইচ কিছু মিষ্টি  জল সহযোগে জলযোগ করলাম ।প্রত্যেকে 500 মিলি  করে জল। তারপর মাঝে রাস্তার ধারে একটা সুন্দর বাগানসহ হোটেল ও Resturent এ  গাড়ি দাঁড়ালো । সেখানে সবাই চা-কফি খেয়ে বাথরুম সেরে নেওয়া হলো। জায়গাটা খুব সুন্দর  , চারিদিকে ভেরি তার মাঝখানে সুন্দর বাগানসহ হোটেল ও Resturent  চা খাওয়ার পর গাড়ি ছাড়লো সাড়ে বারোটা নাগাদ গদখালির উদ্দেশ্যে ...

সুন্দরবন ভ্রমণের বিভিন্ন স্থান

 Sundarban tourism এর  বিভিন্ন স্থান গুলির মধ্যে-Godkhali -




গদখালি পৌঁছালো প্রায় 12:30 তারপর Godkhali Launch boat  ঘাটে এসে আমরা Launch boat  চাপলাম যেটা আমাদের জন্য reserve করা ছিল. আমরা যে মোটর বোর্ডে চেপে ছিলাম সেই মোটর বোর্ডের নাম M D M অর্থাৎ মোটর বোট দেবেন্দ্র . Boat  চালক একজন বয়স্ক, সরল ভাষী  দক্ষ দায়িত্বপূর্ণ মানুষ. তিনি boat  চালার ফাঁকে ফাঁকে  উনার জীবনের সুন্দরবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করছিলেন।তার ছেলে যখন বোর্ড চালাচ্ছিল  তখন তিনি বিভিন্ন রোমহর্ষক কাহিনী গল্প আকারে সহজ-সরলভাবে বর্ণনা করছিলেন।সুন্দরবনের দক্ষিনরায়ের (বাঘ) রোমহর্ষক এই কাহিনী দিন ধরে আমরা তা দারুণভাবে উপভোগ করেছি । লঞ্চ বোর্ডে উঠে প্রথমে কোলড্রিংস খেয়ে একটু ঠান্ডা হয়ে নিলাম, তারপর Launch boat এর ধারে চেয়ারে বসে সুন্দরবন ব-দ্বীপের  প্রাকৃতিক সৌন্দর্য  উপভোগ করতে লাগলাম ।











মনোরম দৃশ্য। মার্চ-এপ্রিল মাসে গরমকাল,তা অনুভূত হচ্ছিল নদীর পারে গদখালিতেই কিন্তু লঞ্চঘাটে কোন গরম অনুভূত হলো না । প্র্রবল হাওয়া , নদীর ঢেউ এবং নদীর এক পারে ছোট ছোট গ্রাম ও উল্টোদিকে বাদাবনের মনোরম পরিবেশ আমাদের দারুন লাগছিল। ধারণা ছিল প্রচণ্ড গরম হবে তাই সঙ্গে নিয়ে এসেছিলাম টুপি,উওরী্য়‌,sunscream,sunglass,light green T shirt etc. কিন্তু sunglass ছাড়া, কিছুই বের করতে বেশি হয়নি। এখন আমরা আস্তে আস্তে গদখালি ছড়িয়ে চলেছি,এখানে বিদ্যা , ভৈরব, বিদ্যাধরী, দূর্গাদুয়ানি চারটে নদী ।টিফিন  চা খেয়ে এবার আমরা আস্তে আস্তে দক্ষিণ দিকে দত্তা নদী ধরে এগোতে লাগলাম। এদিকে বসতি অঞ্চল আস্তে আস্তে কমে আসতে লাগল অপরদিকে  ম্যানগ্রোভ বনভূমি গভীর হতে লাগল।যেখানে বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির নির্ভয় নিভৃত্বে বসবাস করে।

 




এখানে বলে রাখা ভাল সুন্দরবনকে  

(World Heritage site) ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে ঘোষণা করেছে  'UNESCO' এবং এটি একটি  (Biosphere reserve) বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ যার ফলে Forest Department এবং এলাকার আদিবাসী মানুষজন পর্যটকদের থেকে সুন্দরবন বনভূমিকে বেশি প্রাধান্য দেন। তাই সুন্দরবন ট্যুর এর পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট ট্রাক  রুটের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সেই অনুসারে বোর্ড  চালকরা ও গাইডরা সেভাবে চালায় এবং পর্যটকদের নিয়ে যায় ও ঘোড়ানো হয়।এর বাইরে কোন ছোট খাঁড়ি বা অন্য কোন দিকে যাওয়া যায় না। যারা  পর্যটকদের নিয়ে যায় তারা সেই map ধরে যায় । এর বাইরে কিন্তু বেশির ভাগটাই  বন্ধ নেট দিয়ে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে খাঁড়ি গুলোতে  কখনো যেতে দেওয়া হয় না ।তার অনেক কারণ আছে  এখানে যেসব প্রজাতি বসবাস করে তারা নির্ভয় নিশ্চিন্তে থাকতে পারে তাদের কোন Disturbe  না হয় । ম্যানগ্রোভ বনভূমির এই  সুন্দরবনের যে দ্বীপ রয়েছে তার বেশিরভাগ গুলোকে এখন বনকর্মীরা সব নেট দিয়ে ঘিরে দিয়েছে এবং যতটা  আমরা দেখতে যাব তার বেশিরভাগ অংশই  নেট দিয়ে, বড় বড় বাঁশ দিয়ে, লালনের দড়ি দিয়ে বাদাবনকে ঘেরা হয়েছে। এতে কি হয় বিশেষ করে বাঘ  পর্যটকদের বা নদী পেরিয়ে বসতি এলাকায় অন্য কোনো মানুষকে আক্রমণ করতে না পারে তাই জন্যই ব্যবস্থা করা হয়েছে । তাই যেন বাঘ দেখার সম্ভবনা সত্যি সত্যিই খুব কম তবে আমরা অনেক অন্য প্রজাতি দেখেছি।

 Sundarban tourism এর  বিভিন্ন স্থান গুলির মধ্যে-জেমসপুর -

দুপুর নাগাদ আমরা দয়াপুর দ্বীপে পৌছে যাইজায়গায়টার নাম জেমসপুর ।এখানে একটি সন্দর বাংলোতে আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়  বিকালে  পরের দিন Launch Boat এ চেপে আমরা সুন্দরবনের কয়েকটি দ্বীপে ঘুরে বেড়াই  বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করিআমরা দুপুর একটায় জেমসপুর ঘাটে নামলাম। ঘাটের কাছেই নদীবাঁধ।নদীবাঁধের নীচেই কিছু লোকালয় ,আর একটু নিরিবিলিতে আমাদের বাংলো Sundarban Tiger Roar Resort   যেটা আমরা বুক করেছিলাম  Sundarban Tiger Roar Resort - Resort &Tourism in sundarban travel egency এর সঙ্গে। নামর সঙ্গে  সঙ্গে  Sundarban Tiger Roar Resort লোকজন আমাদের luggage নিয়ে গেল। বাগানসহ Resort  খুব সুন্দর ।



Sundarban tourism,west bengal tourism online booking






 







Sundarban tourism এর  বিভিন্ন স্থান গুলির মধ্যে-


সানশেড পয়েন্ট-

তারপর স্নান সেরে ভাত, ডাল,আলু পটল চিংড়ী, ভেটকি মাছের পাতুরি, আমুদি মাছের ঝাল, পাপড় সহযোগে ডিনার সেরে রেস্ট নিলাম। তারপর পাঁচটার সময় বিকেল বেলায় কথামতো Launch boat হাজির হলাম সানসেট দেখার উদ্দেশ্যে। বোট চলতে লাগল পূর্বদিক ধরে দত্তা নদীতে, বিকেলের আবহাওয়ায়  মনোরম পরিবেশ খুব ভালো লাগছিল কিছুক্ষণ যাওয়ার পর নদীটা দুভাগ হয়ে গিয়েছে বড়ো  খাঁড়িতে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের একটি বোর্ড এভাবে দাঁড়িয়ে আছে যাতে ওদিকে কেউ না যেতে পারে এই জায়গাটা অনেকটা চওড়া ,নদীর মাঝখানে আমাদের  লঞ্চবোট দাঁড়িয়ে গেল সেখান থেকে পশ্চিমে সুন্দরভাবে দেখতে পেলাম আস্তে আস্তে সূর্য অস্ত  যাচ্ছে। বাদাবনে অন্ধকার নেমে আসতে লাগল তার সঙ্গে সঙ্গে আমরা  Resort এ ফিরে এলাম। ফিরে এসে চিকেন পোকড়া সহযোগে আদিবাসী নৃত্য উপভোগ করলাম এটা আমাদের কাছে একটা সারপ্রাইজ  মতন তারপর দয়াপুর গ্রামের দিকে ঘুরতে গেলাম যেখানে বাসন্তী পূজো উপলক্ষে সুন্দর মেলা অনুষ্ঠান হচ্ছে, ওখানে অনেকক্ষণ কাটানোর পর আমরা দশটার দিকে হোটেলে ফিরে এলাম পর ফ্রাই রাইস ,চিলি চিকেন, রুটি ,আলু পোস্ত , মিষ্টি ও বিভিন্ন তরকারি সহযোগে  ডিনার করে ঘুম দিলাম।













Sundarban tourism এর  বিভিন্ন স্থান গুলির মধ্যে-সজনেখালি-


Sundarban tourism

পরদিন সকালে চা খেয়ে 10:30 নাগাদ বেরিয়ে পড়ি আমরা আবার সজনেখালি উদ্দেশ্যে , আমরা সেখান থেকে বেরোয় 
এখানে আমাদের সঙ্গে পরিচয় হয় আমাদের  সারাদিনের গাইড এর নাম শান্তি দার সঙ্গে , তিনি সমস্ত কিছু ডিটেলস বলতে বলতে চলতে লাগলেন . এখানে তো তেমন কিছু নেই সামনে কিছু অংশ  কৃএিম জলাশয় জুড়ে ঘেরা আছে  ওখানে নাকি বাঘ জল খেতে আসে  এবং  সেখানে একটি watch tower আছে.  বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ এবং প্রানী ছবি  দেওয়া আছে এবং সুন্দরবনের একটা ম্যাপ. এবা আমরা  সুনন্দখালি  দিয়ে যাচ্ছি এরপর পিরখালি ব্লক একটু দূরে অনেক খাঁড়ী  কিন্তু এগুলোকে ঢোকা যায় না। দূর থেকে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন রকম প্রজাতির প্রাণী দেখা যায়।দক্ষিনে গাজীখালী ধরে দোঁবাকি যাচ্ছি । যেতে যেতে নদী দুধারে চোখ রাখি যদি কোথাও বাঘ দেখা যায় । কিংফিশার , হরিন ,বাঁদর এবং গোসাপ গুলো চোখেও পরেছিল ,শীতকালে প্রায়ই দেখা যায় বিশাল বিশাল কুমীর নদীর পাড়ে রােদ পােহাচ্ছে, সুন্দরবনের জলে কুমীরকামট এবং ডাঙায় হরিণবাঁদর আর বাঘ , বাঘেরা নিঃশব্দ পছন্দ করেবাজনার আওয়াজ আর মানুষের কোলাহল তাদের দূরে সরিয়ে রাখে


Sundarban tourism




Sundarban tourism এর  বিভিন্ন স্থান গুলির মধ্যে- দোবাঁকি-



Sundarban tourism


দোঁবাকি পৌঁছে কৃত্রিমভাবে তৈরি ক্যানোপি দেখলাম সেই অর্থে এখানে তো তেমন কিছু নেই সামনে কিছু অংশ  কৃএিম জলাশয় জুড়ে ঘেরা আছে  ওখানে নাকি হরিন ,বাঘ জল খেতে আসে  এবং   সেখানে একটি watch towerআছে. সুন্দরবনের সুন্দরী গাছের চারা তৈরি করা হয়েছে  ছাড়া আর কিছু নেই  কিন্তু মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ উদ্ভিদের বিভিন্ন রকম অবস্থা তাদের সম্বন্ধে যানার অভিজ্ঞতা এবং সবাই মিলে আনন্দ করার একটা ভালো জায়গা। আজকে  লাঞ্চ করে নিলাম খাবারের  মধ্যে ছিল চিকেন, গলদা চিংড়ির , ভেটকি মাছ ইত্যাদী। আমরা Launch boat  যেতে লাগলাম এবং আনন্দ হচ্ছিল একটা সময় আমরা  যখন চলে এসেছিলাম  নদীগুলোর  মাঝখানে  সেখানে এত বড় ঢেউ যেখান থেকে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণে পড়ছেড়, সেই জায়গায় এত ঢেউ উঠেছে যে সত্যিই আমাদের ভয় হচ্ছিল।  জড়িয়ে  ছিল তখন ধরে থাকতে বললেন তারপর আমরা খাওয়া-দাওয়া করে তারপর আবার ঠিক হয়ে গেল তারপর আস্তে আস্তে আমরা বাড়ি ফিরলাম তারপরের দিন বিকেলে ফিরে সাইটসিন করে নিজেদের গাঙ্গুলী দেখার পর মেলা ঘুরে সন্ধের সময় আবার এবং অনেক পচা এর সহযোগী আমরা পরিবেশন করলাম আমরা কিন্তু আবার ডিনার করলাম আজকে ডিনারে ছিল বিভিন্ন রকম খাবারের মধ্যে ছিল ভাইরাস নুডুলস আমুদি মাছের টক মিষ্টি ইতালি আমরা যে যার ঘরে শুয়ে পড়লাম .



Sundarban tourism এর  বিভিন্ন স্থান গুলির মধ্যে-পাখিরালয় –

 তারপরের দিন সাড়ে দশটায় সকাল-সকাল টিফিন খেয়ে  বেরিয়ে  আমরা প্রথমে পাখিরালয় পৌছালাম ।মাঝে  চা খেলাম ।পাখিরালয় পৌঁছে এখানে বাজার মার্কেটে ঘুরে বিভিন্ন জায়গায়  নেমে  দেখলাম তারপর   Launch boat   আবার উঠে বাঁদিকে চললাম উদ্দেশ্যে  হামিল্টন বাংলো । তবে বলে রাখা ভালো পাখিরালয় নাম শুনে মনে হবে এখানে হয়ত পাখী দেখতে পাব ও পরিবেশটা হয়ত সেইরকম হবে।কিন্ত তার পুরো উল্টো,কিচ্ছু নেই।

 


 

Sundarban tourism এর  বিভিন্ন স্থান গুলির মধ্যে-হ্যামিলটন বাংলো-

হামিল্টন বাংলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে এসেছিলেন স্যার ড্যানিয়েল হ্যামিলটন সাহেবের অনুরোধে। একদিন তিনি থেকেছেন তার জন্য তার বাড়ি তৈরি করা আছে। তাদের মূর্তি আছে। বাড়িটা সংরক্ষণ করা হয়েছে তবে এই জায়গাটা সুন্দরভাবে সংরক্ষণের যোগ্য। এখানে টাউন গোসাবা ব্লক ও মার্কেট এখান থেকে  স্টিমারে করে সবকিছু নিয়ে যাওয়া হয় । ব্রিটিশ  শাসনের গােড়ার দিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লােকেরা সুন্দরবনের প্রাকৃতিক বনসম্পদে আকৃষ্ট হয়ে বাংলার নবাবের কাছ থেকে সুন্দরবনের জমিদারি স্বত্ব নিয়ে নেয়  সরকারি প্রচেষ্টা ছাড়াও বহু ব্যক্তি সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে জনবসাত গড়ে তুলতে আর তাদের সুবিধার্থে নানান প্রতিষ্ঠান তৈরিতে এগিয়ে আসেন যার মধ্যে সবার আগে নাম করতে হয় স্যার ড্যানিয়েল হ্যামিলটনের। ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে ধনী ইংরেজ স্যার ড্যানিয়েল হ্যামিলটন সুন্দরবনের তিনটি দ্বীপগােসাবা, রাঙ্গাবেলিয়া আর সাতজেলিয়া মিলে প্রায় ১০ হাজার একর জমি  নিয়ে সুন্দরবন তৈরি করেন  

 


 

 

Sundarban tourism এর  বিভিন্ন স্থান গুলির মধ্যে-গোসাবা ব্লক:





গোসাবা ব্লক দেখার পর আমরা ওখানেই লাঞ্চ সেরে আবার গদখালীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম , উল্টোদিকে গদখালি।  Launch boat থেকে নামলাম তখন খুব মন খারাপ হয়ে গেল কারণ  তিনদিন ধরে আমরা ছিলাম নদীতে, ঘুরতে ঘুরতে আনন্দ করেছি । তাই খুব মন খারাপ হয়েছিল তারপর  Launch boat চালক ভদ্রলোক ছিলেন এবং তার ছেলে  ভালো ব্যবহার করেছেন তাদের সঙ্গে খুব আনন্দ উপভোগ করেছি। আমরা প্রত্যেকে  গাড়ীতে উঠে পরলাম  হাওড়া স্টেশনের উদ্দেশ্যে। মাঝে একবার চা খেয়ে নিলাম । তারপর সুকান্ত দা আমাদের নামিয়ে দিলেন । হাওড়া স্টেশনে নেমে বিদায় দিলাম সুকান্ত দাকে।


সুন্দরবনের ভূমির গঠন  বাদাবনে জন্মানাে প্রধান লণাস্তু  লবণাস্তুসহবাসী উদ্ভিদসমূহ (Land forms and Mangrove associates species in Sundarban):

 Sundarban tourism,west bengal tourism online booking  সম্বন্ধে জানতে গেলে আগে জানতে হবে এর  বিভিন্ন স্থান গুলির মধ্যে-বাদাবনে জন্মানাে উদ্ভিদ  নদীর ধানি ঘাসওড়াকালাে বাইন নদীচর ওড়াকালাে বাইনসাদা বাইন  ঢালযুক্ত নদীচরভূমি  পেয়ারা বাইনকেওড়াকাকড়াগর্জন,  সদ্য গড়ে ওঠা নদীপাড়ের বাদাবন গর্জনকঁকড়াগরানধুধুল,  মটগরানগেওয়াখলসিকেওড়া,  বাইন,  সুন্দরীহেঁতাল , খাঁড়ি বা নদী পাড় থেকে সামান্য দূরে , কাকড়াধুন্দুলগেওয়াগরানমটগরানকেওড়াখলসিপেয়ারা বাইনথেকে দূরের বাদাবনে গােলপাতা এই নােনা বাদাবনেগাছপালাদের নানা ভাবে মানিয়ে নিতে হয়. নােনা জমিতে বীজ পড়লে তার থেকে গাছ ব্রেতে পারে না তাই এখানকার গাছেরা তাদের ফুলের জঠরের ভেতরেই গাছকে খানিকটা বাড়িয়ে নেয়যাকে বলে জরায়ুজ-অঙ্কুর-উদগম এই ধরণের গাছেদের ডালে ডালে এমন চারাগাছ ঝুলতে দেখা যায় পরে সেই শিশু গাছটা মাটিতে পড়ে সামলে নিতে পারে আর ক্রমশ বড়াে গাছ হয়ে ওঠে



সুন্দরবনের প্রাণী বৈচিত্র্য (Animal Diversity in Sundarban)-

 



সাধারণ নাম -  বৈজ্ঞানিক নাম

 রয়েল বেঙ্গল টাইগার - Panthera tigris

চিংড়ি-  Penaeus indicus

মােহানার কুমির- Crocodylus porosus

হার্মিট ক্র্যাব - Diogenes sp    

এশিয়ান ওয়াটার মনিটর- Varanus salvator

ভেটকি-  Lates calcarifer                        

সাধারণ মাছরাঙা - Alcedo atthis

মেছাে বিড়াল-     Felis viverrina 

 পিয়েড কোকিল- Clamator jacobinus 

  স্যাণ্ড বােয়া - Eryx conicus

রেসাস বানর- Macaca mulatta

 নেরাইট স্নেইল- Neritina sp.


.


কয়েকটি ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ তাদের বিজ্ঞানসম্মত নাম্ (some Mangrove Plants and their Scientific Name):

 

বাংলা নাম       বৈজ্ঞানিক নাম

গর্জন - Rhizophora apiculata

গোলপাতা  - Nypa fruticans

 কাঁকড়া - Bruguiera sexangula

 সুন্দরী -  Heritiera fomes 

গরান - Ceriops decandra

 হেঁতাল --Phoenix paludosa

কালোবাইন -- Avicennia alba

 ধানি ঘাস - Porteresia coarctata


 
Sundarban tourism










বর্তমানে সুন্দরবনের কয়েকটি বিশেষ সমস্যা :

 Sundarban tourism,west bengal tourism online booking  সম্বন্ধে জানতে গেলে আগে জানতে হবে 

 বর্তমানে সুন্দরবনের সমস্যা.সুন্দরবনের উপগ্রহ চিত্র (Satellite image) বিশ্লেষণ করে দেখা  যায় সন্দরবনের পশ্চিমদিকের ঘন বনাঞ্চলের মাঝখানটা ফাকা হয়ে যাচ্ছেতারপর থেকে এই ফাঁকা জায়গার আয়তন আরও বেড়ে চলেছে পশ্চিম অংশ দিয়ে যে-সমস্ত নদী আগে সাগরে মিশত সেগুলির অধিকাংশই  ক্ষমতা এতটাই কমে গিয়েছে যে বদ্বীপের মাটি তেমন ভিজছে না, ফলে বদ্বীপের মধ্যস্থ নদী আগে সাগরে মিশত সেগুলির অধিকাংশই হয় বন্ধ হয়ে গিয়েছে নতুবা সেগুলির জন্য নােনাজলে বনাঞ্চল সারাক্ষণ ভিজে থাকছে, ফলে সুন্দরী গাছের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেদ্বীপের মাঝখানে মিষ্টি জল পৌছাচ্ছেই না  সুন্দরবনের খাঁড়ি পথে অত্যধিক মােটরবােট চলাচলের ফলে , গত কয়েক বছরে সুন্দরীগাছ কমেছে প্রায়  নদীপথে অত্যধিক মােটরবােট চলাচলের ফলে জলের সঙ্গে মিশছে পােড়া তেল, মােবিল নদীতে, নােনাজল ঢুকিয়ে অবাধে চলছে চিংড়ি চাষ নদীবক্ষের জমি চলে যাচ্ছে , গােলপাতার জঙ্গল বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে মাতলা, বিদ্যাধরী নদীবক্ষের জমি চলে যাচ্ছে ইটভাটার মালিক আর চিংড়ির ভেরি মালিকদের হাতে আয়লায় সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞলের চাষের জমি, পুকুর ভরে গিয়েছিল নােনা জলে তার পরের বছরগুলিতে ভালাে বৃষ্টি হয়নি ফলে মাঠের লবণাক্তভাব একটুও কমেনি বেশিরভাগ ধানের জমিতেই আর ধান চাষ করা যাচ্ছে না ফলে সুন্দর চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে এইসমস্ত সমস্যার আশু সমাধান প্রয়ােজনফলে সুন্দরবনের জীবন জীবিকা  আশু সমাধান প্রয়ােজন সরকারি উদ্যোগ জনগণের সচেতনতার দ্বারা সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষা করতে হবে, নতুবা অদূর ভবিষ্যতে সুন্দরবন আমাদের কাছে কেবলমাত্র ছবি হয়ে বেঁচে থাকবে আমরা হারাবাে অসংখ্য জীবপ্রজাতিকে যা জীববৈচিত্র্যকে চরম বিপন্নতার মুখে ঠেলে দেবে

tourism in west Bengal, west bengal tourist places, package tour to sundarban from Kolkata,



***** POST টি পড়ার জন্য আপনাকে  ধন্যবাদ ।POST টি যদি ভালো লেগে থাকলে comment ও share করার অনুরোধ রইল।*******

আরো পড়ুন :- 

জল দূষন (water pollution )

CORD BLOOD BANKING SREVICES.

BEST PLACE VISITE IN TARAPITH



Reference    :

1.সুন্দরবন-সুন্দরবন ....প্রতীপ কুমার পালিত . 
2.Britannica .com
3.Facebook, Twitter, Pinterest
4.Pic- Pixabay, pexel, unplash
5.adhunik geography- D : Judhirstir Hazra and Dulal das
6.Climatology -D.S.Lal.
7.NEWS PORTAL: India Today, Times of India,
8.Sanchita Mondal Sarkar, MSc, geography.
9.রায় মার্টিন জীবন বিজ্ঞান সহায়িকা... দশম শ্রেণী.
10.জীবন বিজ্ঞান সহায়িকা... দশম শ্রেণী.... ছায়া প্রকাশনী.
11.Sundarban Tiger Roar Resort & tourism in sundarban travel.



1 comment:

  1. Darun.......exclent...sobar khub upokar hobe...onek kichu jante parbe...

    ReplyDelete

Theme images by merrymoonmary. Powered by Blogger.