Header Ads

CORONA VIRUS(করোনা ভাইরাস)

CORONA VIRUS(করোনা ভাইরাস)



ভূমিকা :-


এই মুহূর্তে CORONA VIRUS(করোনা ভাইরাস) পুরো বিশ্বে প্রচণ্ড আতংকের সৃষ্টি করেছে। সমস্যা হচ্ছে, কেউ আক্রান্ত হলে তার দেহে এই ভাইরাসের চিহ্ন বা লক্ষণ খুঁজে পেতে অনেকদিন সময় লেগে যায়। সাধারণত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জ্বর বা কাশি নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তার ফুসফুসের ৫০% ফাইব্রোসিস (সূক্ষ্ম অংশুসমূহের বৃদ্ধি) তৈরি হয়ে যায়, যার মানে অনেক দেরি হয়ে গেছে। তাইওয়ানের বিশেষজ্ঞরা কেউ আক্রান্ত হয়েছেন কি না, সেটা নিজে নিজেই পরীক্ষা করার একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যেটা কেউ প্রতিদিন সকালে উঠেই কয়েক সেকেন্ডে একবার পরীক্ষা করে নিশ্চিন্ত হতে পারেন। পরীক্ষাটা হলো; পরিচ্ছন্ন পরিবেশে লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে সেটাকে দশ সেকেন্ডের কিছুটা বেশি সময় ধরে আটকে রাখুন।যদি এই দম ধরে রাখার সময়ে আপনার কোনো কাশি না আসে, বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব না হয়, মানে কোনো প্রকার অস্বস্তি না লাগে, তার মানে আপনার ফুসফুসে কোনো ফাইব্রোসিস তৈরি হয়নি অর্থাৎ কোনো ইনফেকশন হয়নি, আপনি সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত আছেন।

COVID-19 কী?


COVID-19 ভাইরাসের নাম

রোগটির নাম।


Corona VIrus Disease 2019. শ্বাসনালী ও ফুসফুসে ভাইরাসটির সংক্রমণ হলে এই রোগ হয়।

  তাহলে ভাইরাসের নামটা কী?


Severe acute respiratory syndrome corona virus 2(SARS-CoV-2).


 এটা কী একেবারে নতুন একটা ভাইরাস?


না, CORONA VIRUS(করোনা ভাইরাস) গোত্রের বহু ভাইরাস বহু হাজার বছর ধরে এই পৃথিবীতেই আছে।তাদের মধ্যে ছয়টি মানুষের শরীরে রোগ বাধায়, বাকিরা পশুপাখিদের শরীরে। এই ভাইরাসটিকে একেবারে নতুন বলা যাবে না । এর জিনের বেশ কিছুটা বাদুড়ে সংক্রমিত একরকমের করোনা ভাইরাসের সাথে মেলে। করোনা মোটামুটি বড়সড় একটি ভাইরাস। তবুও খালি চোখে দেখা যাবে না, ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ লাগবে এটাকে দেখতে! এর আকারের কারনে বাজারে পাওয়া যায় এমন মাস্ক এটাকে প্রতিরোধ করতে স্বক্ষম হবে। যেহেতু এই ভাইরাসটি বাতাসে নয়, মাটিতে অবস্থান করে, তাই এটা বাতাসে ছড়ায় না। কোন ধাতব তলে বা বস্তুতে CORONA VIRUS(করোনা ভাইরাস) পড়লে প্রায় ১২ ঘন্টা জীবীত থাকতে পারে। তাই সাবান দিয়ে হাত ধুলেই যথেষ্ট হবে। কাপড়ে এই ভাইরাসটি প্রায় ৯ ঘন্টা জীবীত থাকতে পারে। তাই, কাপড় ধুয়ে নিলে বা রোদে ২ ঘন্টা থাকলে এটি মারা যাবে। হাতে বা ত্বকে এই ভাইরাসটি ১০ মিনিটের মতো জীবীত থাকতে পারে। তাই, এলকোহল মিশ্রিত জীবানু নাশক হাতে মেখে নিলেই জীবানুটি মারা যাবে। CORONA VIRUS(করোনা ভাইরাস) গরম আবহাওয়ায় বাঁচে না। ৭০ সেলসিয়াস তাপমাত্রা এটিকে মারতে পারে।


CORONA VIRUS(করোনা ভাইরাস) ছড়ায় কী ভাবে?


ভাইরাসটি প্রথম ছড়ানো শুরু করে চিনে হ্যুয়ান প্রদেশের একটি মাছ আর মাংসর বাজার থেকে। তারপর থেকেই দেখা যায় যে মানুষ থেকে মানুষের মধ্যেও ছড়াচ্ছে । সংক্রমিত ব্যক্তি হাঁচলে বা কাশলে তার কফে বা লালায় লেগে থাকা ভাইরাস ছড়িয়ে পরে মোটামুটি ৩ ফুটের দূরত্বে থাকা মানুষের মধ্যে। সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে খাবার শেয়ার করলেও এটা হতে পারে। লালার মাধ্যমে ছড়াতে পারে ভাইরাস। . সংক্রমিত পশুর শরীর থেকেও ছড়ায়। করোনা ভাইরাসের বাঁচার জন্য যে পরিবেশ লাগে তা মানুষ বা পশুপাখির শরীর ছাড়া পাওয়া যাবে না। তাই এই ভাইরাস বাতাসের সংস্পর্শে এলে কয়েক কয়েক মিনিটের মধ্যেই মরে যায়।  ভাল করে রান্না করা পশুপাখির মাংস আর ফ্রোজেন খাবারেও করোনা ভাইরাস থাকার সম্ভাবনা শূন্য।


 তাহলে  কী ভাবে এই সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচবো?


সাবান আর জল দিয়ে ভাল করে হাত ধোবেন। বাড়ির বাইরে থাকলে মাঝে মাঝে অ্যালকোহল বেসড হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন। প্রতি আধঘন্টায় বা একঘন্টায় করার দরকার নেই। কারোর সংস্পর্শে এলে বা কোথাও খেতে গেলে খাওয়ার আগে এবং পরে করুন। মুখে এটা লাগাবেন না। যে কোন অ্যালকোহল বেসড স্যানিটাইজার হলেই হবে। মেডিকেটেড বা ক্লোরহেক্সিডিন থাকা স্যানিটাইজার ব্যবহার করার কোন প্রয়োজন নেই। তবে করলেও ক্ষতি নেই ।ময়লা হাতে কিন্তু স্যানিটাইজার কাজ করে না। তখন হাত ধুতেই হবে। বারবার নিজের  মুখে, ঠোঁটে,নাকে, চোখে হাত দেবেন না। অনেকেরই এই মূদ্রাদোষ থাকে। যাদের হাঁচি বা কাশি হচ্ছে তাদের থেকে এক মিটার দূরত্ব রাখার চেষ্টা করুন। জানি কাজের জায়গায় এটা অনেক সময়তেই সম্ভব নয়, অশালীনও বটে। কিন্তু সংক্রমণ আটকাতে করতেই হবে এটা।



কেউ হাঁচলে বা কাশলে মুখের আর নাকের সামনে হাত দিয়ে করতে বলুন। আপনার নিজের ক্ষেত্রেও তাই করুন। চেষ্টা করুন টিস্যু পেপারে হাঁচতে বা কাশতে। তারপরেই টিশ্যুটাকে ফেলে দিন, পুড়িয়ে দিলে সবচেয়ে ভালো। তারপর নিজের হাত ধুয়ে নিন বা স্যানিটাইজার লাগান। এই অভ্যাসটা তৈরি করতে পারলে ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই আটকে দেওয়া যাবে। চ. কাঁচা মাংসে হাত না দেওয়ার চেষ্টা করুন। এটা মুরগী আর পাঁঠা দুটোর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যারা ভাবছেন মুরগীর দাম কমেছে এবারে গুছিয়ে খাব, কিংবা যারা ভাবছেন খাবই না একেবারে, তাদের বলি - নিশ্চিন্তে খান।শুধু রান্নার আগে মাংসটাকে ধোয়ার সময় তো আপনাকে হাত দিতেই হবে। সেক্ষেত্রে মাংস ধোবেন গরম জলে বা খুব ঠান্ডা জলে, এবং পারলে ভিনিগার দিয়ে। ধোয়ার পরে নিজের হাত ধুয়ে নিন সাবানে, এবং স্যানিটাইজারে। কড়ায় মাংস দেওয়ার পরে আর ভয়ের জায়গাই নেই, ভাল করে রান্না করে নেবেন, দেখবেন হাড়ের কাছের অংশ যেন কাঁচা  না থাকে, মুরগীর মাংস রান্নার সময় অনেক ক্ষেত্রে এটা হয়। বাড়ীর মা, মাসি,রান্নার দিদিরা যারা এই পোস্ট পড়তে পারবেন না তাদেরকে বিশেষ করে সতর্ক করুন।ছ. কাঁচা দুধ খাবেন না। ডিমও ভাল করে সেদ্ধ করে খাবেন। পোচড এগ এড়িয়ে চলুন।



মাস্ক কাদের পরা উচিত?


যারা CORONA VIRUS(করোনা ভাইরাস) আক্রান্ত ,অথবা নিজেদেরকে আক্রান্ত বলে মনে করছেন তারা পরবেন মাস্ক। যাতে অন্য কারোর শরীরে এই রোগ না ছড়ায়। আবার বলছি, মাস্ক কোন ভাবেই আপনাকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচাবে না, উলটে আপনার ক্ষতি করবে।

CORONA VIRUS(করোনা ভাইরাস)দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন?


CORONA VIRUS(করোনা ভাইরাস) রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি আর পাঁচটা সাধারণ ভাইরাসের মতোই। তা হল- জ্বর,কাশি,মাথা আর গায়ে হাতে পায়ে ব্যথা,ক্লান্তি,গলা ব্যথা,নাক দিয়ে জল পড়া,পাতলা পায়খানা।এই লক্ষণগুলো রোজের ননগ্ল্যামারাস ভাইরাসগুলোও করে। এতে ভয়ের কিছু নেই। ডাক্তারের কাছেও দৌড়বার দরকার নেই। এগুলো হলে-

জল খান অনেক। ,রেস্ট নিন। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল খান।, লাগলেও এখন বেশি বেশি গরম পানি পান করবেন, আইসক্রিম থেকে দূরত্ব বজায় রাখবেন।লবন মিশ্রিত গরম জল দিয়ে গারগল করলে গলার মিউকাস পরিষ্কার হবার সাথে সাথে টনসিলের জীবানুসহ করোনাও দূর হবে, ফুসফুসে সংক্রমিত হবে না।আর, নাকে-মুখে আঙ্গুল বা হাত দেবার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। কারন, মানব শরীরে জীবানু প্রবেশের সদর দরজা হলো নাক-মুখ-চোখ! দুম করে কোনো অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না দয়া করে ।সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খান ।গরম জলে নুন ও লেবু দিয়ে ৫০মিলি খান ।প্রচুর জল খান ।এগুলো সাধারণ কিছু ঘরোয়া উপায় যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। জাপানের ডাক্তাররা আরেকটি অত্যন্ত ভালো উপদেশ দিয়েছেন যে, সবাই চেষ্টা করবেন যেন আপনার গলা ও মুখের ভেতরটা কখনো শুকনো না হয়ে যায়, ভেজা ভেজা থাকে। তাই প্রতি পনেরো মিনিট অন্তর এক চুমুক হলেও জল পান করুন। কারণ, কোনোভাবে ভাইরাসটি আপনার মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করলেও সেটি জলের সাথে পাকস্থলীতে চলে যাবে, আর পাকস্থলীর এসিড মুহূর্তেই সেই ভাইরাসকে মেরে ফেলবে।


কখন ডাক্তারকে দেখানোই দরকার?


যদি এগুলোও শুরু হয়- শ্বাস কষ্ট। পাঁচ দিনের বেশি থাকা  প্রবল কাশি। বুকে ব্যথা। কফের সাথে রক্ত। পেটে ব্যথা।

যদি CORONA VIRUS(করোনা ভাইরাস) এ আক্রান্ত হন তাহলে কী অবধারিত মৃত্যু?


করোনা ভাইরাসে আপনার মারা যাওয়ার যা সম্ভাবনা তার থেকে বেশি সম্ভাবনা ক্যান্সারে বা রাস্তার অ্যাক্সিডেন্টে মারা যাওয়ার। প্রতিবছর কমন ফ্লুতে এর চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ মারা যায়। আপনারও বছরে দুতিনবার ভাইরাল ফিভার হয়ই, তারমধ্যে ফ্লু-ও থাকে। মারা যান কি? প্রতি ১০০ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে মারা যাচ্ছেন ২ জন। এই সংখ্যাটিও একেবারে সঠিক নয় কারণ ভাইরাসটি সদ্য ধরা পড়েছে এবং বিশ্ব জুড়ে এখনও এতটাও ছড়িয়ে পড়েনি। ৩-৭ মাস পর দেখবেন CORONA VIRUS(করোনা ভাইরাস)মারা যাওয়ার সম্ভাবনা আরো কমে যাবে। যারা মারা যাচ্ছেন তারা কারা? বয়স ৪৫ – ৬০ ,আপনার কি এই রোগ গুলো আছে? ডায়াবেটিস ,অ্যাস্থামা,,ক্যান্সার ,ব্লাড প্রেশার হয় তাহলে সাবধানে থাকুন। আপনার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং আক্রান্ত হলে ফুস্ফুসের ইনফেকশনের সম্ভাবনাও বেশি। এবং তার থেকে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হতে পারে। তাই আগে ডাক্তারের কাছে যান, হোমিওপ্যাথি কোন ওষুধ খেলে কী করোনা হওয়া থেকে আটকানো যাবে? না যাবে না। তবে, মনের শান্তির জন্য তিন দিন খালিপেটে খেতেই পারেন

CORONA VIRUS(করোনা ভাইরাস) যদি হয়েই যায়, তাহলে কী এর কোন ওষুধ আছে? বা আটকানোর জন্য ভ্যাকসিন?


না, এখনও পর্যন্ত কোন ওষুধ নেই। তবে আগে যেমন্ন বললাম, আপনি যদি সুস্থ শরীরে এই ভাইরাসের বাহক হন তাহলে নিজে থেকেই কয়েকদিনের মধ্যেই ভাল হয়ে উঠবেন। আর অসুস্থ শরীর থাকলে/ কোনো বিশেষ রোগ থাকলে ডাক্তারের কাছে যান। ডাক্তারবাবু প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেবেন। তাহলেই আপনার মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশ কমে যাবে। করোনা আটকানোর জন্য কোন ভ্যাকসিন নেই এখনও অবধি। এখনও অবধি ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম। তবে এই সংখ্যা বাড়বে, এয়ারপোর্টগুলোতে একটু বেশি সাবধানী থাকবেন। তবে দেশের মধ্যে ফ্লাইটে যাতায়াত করাতে এখনও কোন চাপ নেই।


CORONA VIRUS(করোনা ভাইরাস) এই মুহূর্তে দুটো বিষয় খুব জরুরি।আতঙ্ক না ছড়ানো , Social distance বজায় রাখুন , অবৈজ্ঞানিক কাজ থেকে দূরে থাকা। আসুন, জেনে নিই সেরকমই কিছু তথ্য-


১. CORONA VIRUS(করোনা ভাইরাস) গরমকালে ছড়ায় না, ভারত গরমের দেশ বলে কোনও চাপ নেই?


এখনও অবধি সেরকম কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা WHO খুব পরিষ্কার ভাষায় জানিয়েছে, যে কোনও রকম অঞ্চলে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে, জলবায়ুর কোনও প্রভাব প্রমাণিত নয়।

২.  ঘনঘন গার্গল করলে CORONA VIRUS(করোনা ভাইরাস) রুখে দেওয়া সম্ভব?


সেরকম কোনও প্রমাণ এখনও অবধি মেলেনি। গলায় ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হলে বা গলা খুসখুস করলে নুনজলে গার্গল করলে কাজ দেয়, কিন্তু করোনাভাইরাস কোনোরকম নুনজলকে পরোয়া করে না।

৩. হলুদ-গোলা জল, মেথির জল, ব্লিচ, রসুন, পুদিনাপাতার জল, থানকুনি, কুলেখাড়া ইত্যাদি CORONA VIRUS(করোনা ভাইরাস) প্রতিষেধক?


একেবারেই নয়। এইরকম কোনও কিছুই করোনাভাইরাস রুখে দিতে পারে না। বরং অধিক সেবনে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৪. যে কোনও মাস্ক পরলেই আপনি সেফ?


একেবারেই তা নয়। বিশেষভাবে ল্যাবে বানানো বা ক্লিনিক্যালি ব্যবহৃত এন নাইন্টিফাইভ মাস্ক ছাড়া কোনও কিছুতেই করোনাভাইরাস আটকানো সম্ভব নয়। বরং জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, মামুলি মাস্ক ব্যবহার করলে সেই মাস্ক থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে, যা রীতিমত বিপজ্জনক। শুধুমাত্র আক্রান্ত হলে বা করোনাভাইরাস কনফার্ম হলে তবেই মাস্ক ব্যবহার করুন।

 



 

৫. গরমজলে স্নান করলে CORONA VIRUS(করোনা ভাইরাস) ভয় নেই।


এমন কোনও তথ্য নেই। WHO ঘনঘন গরম জলে স্নান করতে বারণ করেছে। তাতে উলটে ক্ষতি হতে পারে।

৬. এয়ারপোর্টে থা্মাল স্ক্যানারে ধরা না পড়লে আপনি বেঁচে গেলেন।


 একেবারেই তা নয়। খুব ভাল করে জেনে নিন। প্রতিটি ভাইরাসেরই তার হোস্টে, অর্থাৎ এক্ষেত্রে মানব শরীরে ঢোকার পর একটা ইনকিউবেশন পিরিয়ড থাকে। যে সময় তার লক্ষণ ধরা পড়ে না, কিন্তু তার কাজ চলতে থাকে। ফলে আপনার আজ জ্বর নেই মানে এই নয় যে কাল জ্বর হবে না বা শরীরের করোনাভাইরাস নেই। বরং সিম্পটমস দেখা দিতে ৩ থেকে ১০ দিন সময় লাগে। পরিষ্কার WHO নির্দেশিকা রয়েছে। দয়া করে বাইরে ট্রাভেল করে ঘরে ফিরলে আগে কাছাকাছি হাসপাতালে যান। স্যাম্পল টেস্ট করান। এবং বাকিদের স্বার্থে ১৪ দিনের জন্য নিজেকে সম্পূর্ণ কোয়ারান্টাইন রাখবেন।

 ৭. CORONA VIRUS(করোনা ভাইরাস)অ্যান্টিবায়োটিকে সেরে যায়।


 একেবারেই ভুল কথা। এখনও অবধি এর কোনও ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি। এবং কোনও অবস্থাতেই অ্যান্টিবায়োটিক ভাইরাসে কাজ করে না। শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়ার জন্য।



 CORONA VIRUS(করোনা ভাইরাস) নিজেকে এবং অন্যদের ও সুরক্ষিত রাখতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মেনে চলুন

 কী করবেন :-


 বার বার হাত ধোয়া অভ্যাস করুন। হাত সাবান এবং, জল দিয়ে যেবেন কিবা অ্যালকোহল আছে এমন হ্যান্ড রাব ব্যবহার করুন। আপাত ভাবে হতি পরিষ্কার মনে হলেও হাত ধুয়ে নিন। হ্যাঁচি কিংবা কাশির সময় আপনার জানার হাতার উপত্রের অংশ দিয়ে বা রুমাল অথবা টিসু দিয়েনাক ও মুখ ঢেকে রাখুন। ব্যবহার করা হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে টিসু ঢাকনা দেয়া ময়লা ফেলার পাত্রে ফেলে দিন। অনেক লােক উপস্থিত এমন কোথাও অংশগ্রহণ করা থেকে দূরে থাকুন। যদি অসুস্থ বোধ করেন (জুর, শ্বাসকষ্ট এবং কাশি) তাহলে ডাক্তার দেখান। ডাক্তার দেখাতে গিয়ে মঞ্চ বাি কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন। যদি অসুস্থ বােধ করেন, আগামী ১৪ দিনের জনা সবার সূঙ্গে মেলামেশা সীমিত রাখুন এবং একটি আলাদা দুরে থাকুন। (Home Isolation)

কী করবেন না:-


যদি আপনার কাশি এবং জুর হয়ে থাকে তাহলে কারও খুবকাছাকাছি যাবেন না। নিজের মুখ, চোখ এবং নাক স্পর্শ করবেন না। প্রকাশ্যে থুতু ফেলবেন না।


কোয়ারান্টাইন কি?


কোয়ারান্টাইন শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ‘সঙ্গনিরােধ অর্থাৎ একজনের কাছ থেকে আরেকজনের আলাদা থাকা, যাতে অন্য সুস্থ ব্যক্তির দেহে ভাইরাস সংক্রমিত না হয়।

হােম কোয়ারান্টাইন কি?


সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার কারনে বাধ্যতামূলকভাবে হােম কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে। হােম কোয়ারান্টাইনে থাকার সময়কাল ১৪ দিন। এই ১৪ দিন একটি নির্দিষ্ট ঘরে সকলের কাছ থেকে আলাদা থাকতে হবে। স্কুল, কলেজ, উপাসনালয়, বাজার বা কোন প্রকার জমায়েতে যাওয়া যাবেনা। গণপরিবহনে উঠা যাবেনা। আলাদা বাথরুম, আলাদা বাসনপত্র ব্যবহার করতে হবে। সবসময় জীবানুনাশক দিয়ে ঘর পরিষ্কার করতে হবে। কারাে সাথে সাক্ষাৎ করা যাবেনা। সাক্ষাৎ জরুরী হলে কমপক্ষে ৩ ফুট দুরত্ব রাখতে হবে।

আইসােলেশন কি?


 ইতােমধ্যে ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে এবং চিকিৎসাধীন আছেন এমন ব্যক্তিকে পুরােপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সকলের কাছ থেকে একবারে বিচ্ছিন্ন করে রাখা।

সচেতন হােন, নিরাপদে থাকুন।

উপসংহার : -


  CORONA VIRUS(করোনা ভাইরাস) (COVID- ১৯)। অযথা আতঙ্কিত হবেন না,গুজব ছড়াবেন না। চাই রােগ প্রতিরােধ অভিমুখী স্বাস্থ্যনীতি নােভেল করােনা ভাইরাস ২০১৯ (COVID- ১৯) সংক্রমণের উপসর্গ এই ভাইরাস সংক্রমণে ফু- এর মতাে লক্ষণ দেখা দেয় যেমন জ্বর ও কাশি ও শ্বাসকষ্ট ,ডাক্তার না দেখিয়ে কোনোভাবেই কোনও ওষুধ খাবেন না।পশুপাখি থেকে মানুষের ওপর ভাইরাস ছড়ানো একটি স্বাভাবিক বায়োলজিক্যাল প্রক্রিয়া। WHO, CDC, জনস হপকিন্স ও আরও যা যা সরকারি নির্দেশিকা আছে, কেবল সেগুলোই মেনে চলুন। গুজব ছড়াবেন না। শুধু পরিচ্ছন্ন থাকা, বারবার হাত ধোয়া, ময়লা পরিষ্কার করা, জমায়েত এড়িয়ে চলা, সামাজিক মেলামেশা যথাসম্ভব কম করা এবং সামান্যতম সন্দেহ হলেই কাছাকাছি ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে যাওয়াই এর এক এবং একমাত্র ওষুধ। অযথা আতঙ্কিত হবেন না। কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে দূরত্ব বজায় রাখুন কিন্তু সংবেদনশীল ব্যবহার করুন, মনোবল বাড়াতে সাহায্য করুন।

POST টি পড়ার জন্য আপনাকে  ধন্যবাদ ।
POST টি যদি ভালো লেগে থাকলে COMMENT & SHARE করার অনুরোধ রইল।


PIXABAY

IMPORTSANCE : IT IS NOT WHO ' S ,ICMR OR ANY OTHER MEDICAL DEPERMENT OR ANY GOVERMENT GUIDE LINE, IT IS SIMPLY MY OPINION. AND ALSO DATA COLLECT FROM SOCIAL MEDIA. ARTICAL,NEWS PAPER ETC.







৩টি মন্তব্য:

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.