বীমা কি?(What is insurance?)
বীমা কি?(What is insurance?)
সংজ্ঞা:
জীবনবীমা হলো একটি আর্থিক পরিকল্পনা যা আপনার জীবনকালের নিরাপত্তা প্রদান করে। এটি এমন একটি বীমা যা আপনার মৃত্যুর পরে আপনার পরিবার বা নির্ধারিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ প্রদান করে। জীবনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা, যেমন আকস্মিক মৃত্যু বা গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে, জীবনবীমা আপনাকে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে।
জীবনবীমার দুটি প্রধান প্রকার রয়েছে—টার্ম বীমা ও লাইটফ টাইম বীমা। টার্ম বীমা নির্দিষ্ট মেয়াদে প্রিমিয়াম প্রদান করে, যেমন ১০ বা ২০ বছর, এবং মেয়াদ শেষে কোনো পরিশোধ না থাকলে এটি শেষ হয়ে যায়। অপরদিকে, লাইফটাইম বীমা পুরো জীবনের জন্য কার্যকর থাকে এবং জীবনভর প্রিমিয়াম দিতে হয়।
জীবনবীমার সুবিধা হলো এটি আর্থিক সুরক্ষা দেয় ও কোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে পরিবারের সদস্যদের সহায়তা করে। এটি নির্দিষ্ট বিনিয়োগ পরিকল্পনার অংশ হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে, যা সময়ের সাথে সাথে অর্থের মূল্য বৃদ্ধির সুযোগ প্রদান করে।
তবে, জীবনবীমার প্রিমিয়াম নির্ধারণে বয়স, স্বাস্থ্য অবস্থার মতো বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়। তাই বীমার পরিকল্পনা নেওয়ার আগে আপনার আর্থিক অবস্থান ও প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
জীবনবীমা আপনার পরিবারকে আর্থিক ঝুঁকির মুখোমুখি হতে দেয় না এবং আপনার আর্থিক ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।
সাধারণ বীমা কি?
জীবনবীমা হলো একটি আর্থিক সুরক্ষা প্রদানকারী উপায় যা আপনার মৃত্যুর পর আপনার পরিবার বা নির্ধারিত ব্যক্তিকে আর্থিক সহায়তা দেয়। এটি একটি বীমা চুক্তি যেখানে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রিমিয়াম দিয়ে থাকেন এবং আপনার মৃত্যুর ক্ষেত্রে আপনার পছন্দসই সুবিধাভোগী বা ব্যক্তিকে একটি নির্ধারিত অর্থ প্রদান করা হয়।
জীবনবীমার প্রকারভেদ
জীবনবীমা সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে:
১. টার্ম বীমা এই বীমা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে কার্যকর থাকে, যেমন ১০, ২০ বা ৩০ বছর। এই মেয়াদে প্রিমিয়াম প্রদান করলে মৃত্যুর ক্ষেত্রে নির্ধারিত অর্থ প্রদান করা হয়। মেয়াদ শেষে যদি কোনো দাবি না করা হয়, তবে প্রিমিয়ামের কোনো ফেরত পাওয়া যায় না। এই ধরনের বীমা সাধারণত কম খরচে পাওয়া যায়।
২. লাইফটাইম বীমা - এই বীমা আপনার জীবনের অবশিষ্টাংশের জন্য কার্যকর থাকে এবং সাধারণত দুই প্রকারে বিভক্ত ইউনিভার্সাল লাইফ বীমা ও পলিসি। ইউনিভার্সাল লাইফ বীমা আপনাকে আরো বেশি নমনীয়তা প্রদান করে, যেমন প্রিমিয়াম পরিবর্তনের সুবিধা। লাইফটাইম বীমার মধ্যে একটি নগদ মূল্য সঞ্চিত হয় যা পরবর্তীতে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে।
জীবনবীমার গুরুত্ব
জীবনবীমার প্রধান গুরুত্ব হলো এটি আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে। অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর ফলে পরিবারের সদস্যরা আর্থিক সংকটে পড়তে পারে। জীবনবীমা তাদের এই সংকট মোকাবেলা করতে সহায়তা করে।
উদাহরণস্বরূপ, যদি প্রধান উপার্জনকারী ব্যক্তি আকস্মিকভাবে মারা যান, তবে জীবনবীমার মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা ঋণ পরিশোধ করতে পারে, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খরচ বহন করতে পারে, অথবা দৈনন্দিন খরচ মেটাতে পারে। এতে করে তাদের জীবনযাত্রার মান অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়।
এই জীবন বীমা কোম্পানির দিকে তাকান যে এটি সরাসরি ভারত সরকার এবং আমাদের দেশে অন্যান্য জীবন বীমা কোম্পানির মালিকানাধীন। বীমা খাতে এফডিআই অনুমোদিত 49% এবং প্রায়শই বাজাজ অ্যালিয়ানজ, বিড়লা সান লাইফ, এইচডিএফসি স্ট্যান্ডার্ড, আইসিআইসিআই প্রুডেনশিয়াল, টাটা ঠিক এটি নির্দেশ করে।
বীমা নির্বাচন করার সময়কার বিষয়গুলো
জীবনবীমা নির্বাচন করার সময় বেশ কিছু বিষয় বিবেচনায় নেওয়া উচিত:
১. প্রিমিয়ামের পরিমাণ আপনার আর্থিক অবস্থার ভিত্তিতে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত প্রিমিয়ামের পরিমাণ নির্বাচন করুন। বেশিরভাগ বীমা কোম্পানি বিভিন্ন প্রিমিয়াম পরিকল্পনা প্রদান করে।
২. বীমার মেয়াদ আপনি কোন মেয়াদের বীমা চান তা নির্ধারণ করুন। টার্ম বীমা সাধারণত কম খরচে হয়ে থাকে, কিন্তু লাইফটাইম বীমার ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা রয়েছে।
৩. আপনার স্বাস্থ্য অবস্থার প্রভাব বীমার প্রিমিয়াম আপনার স্বাস্থ্য অবস্থার উপর নির্ভর করে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে আপনার বীমা প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হতে পারে।
৪. বীমা কোম্পানির রেকর্ড একটি বিশ্বস্ত ও ভালো বীমা কোম্পানি নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সার্ভিস, গ্রাহক সেবা ও পেমেন্ট ইতিহাস যাচাই করে নিন।
নির্ধারণ ও পরিকল্পনা
জীবনবীমা নেওয়ার আগে আপনাকে একটি আর্থিক পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। আপনার আর্থিক লক্ষ্য, পরিবারের প্রয়োজনীয়তা, এবং বর্তমান আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিন। একটি জীবনবীমা পরিকল্পনা আপনার পরিবারকে আর্থিক ঝুঁকির মুখোমুখি হতে দেয় না এবং ভবিষ্যতে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
বীমা ব্যবসা ইতিহাস
বীমা ব্যবসা 1956 সালে জাতীয়করণ করা হয়েছিল। ব্যবসাটি 1972 সালে জাতীয়করণ করা হয়েছিল। কিন্তু 1919 সাল থেকে 1991 সাল থেকে যখন পিভি নরসিমা রাও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং মনমোহন সিং অর্থমন্ত্রী ছিলেন তখন আমাদের দেশে উদারীকরণ করা হয়েছিল। ১৯৯১ সালে উদারীকরণ শুরু হয়। বেসরকারি কোম্পানির জন্য ৯৪টি ব্যাঙ্কিং খাত খোলা হয়েছিল এবং সেই অনুযায়ী, ১৯৯৩ সালের দিকে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, অস্তিত্ব লাভ করে। এছাড়াও কর্পোরেশন শুরু হয় ৪৬% বিদেশী সরাসরি বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়। পরোক্ষ বিনিয়োগের জন্য কারণ এটি ভারতে অনুমোদিত ভারতীয় সংস্থাগুলির সাথে বিদেশী সংস্থাগুলির সাথে একটি যৌথ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং এর মতোই হল বাজাজ অ্যালিয়ানজ, বিড়লা সান লাইফ, তারা যে মান বিকশিত করেছে তার ইতিহাস এবং আপনি জানেন যে এই ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলির অর্থ কী? বিদেশী কোম্পানী এর জন্য দুটি কারণ আছে একটি হল বিদেশী পুঁজি দেশে প্রবাহিত হবে এবং দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বীমা সেক্টরে আমাদের খুব বেশি দক্ষতা নেই কারণ 2012 সালের আগে এই সেক্টরটি ভারত সরকারের হাতে ছিল।
উপসংহার
জীবনবীমা একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সরঞ্জাম যা আপনার পরিবারকে নিরাপত্তা প্রদান করে এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনার পর আর্থিক চাপ কমায়। একটি উপযুক্ত জীবনবীমা পরিকল্পনা আপনাকে শান্তি দেয় যে আপনার প্রিয়জনেরা আর্থিকভাবে সুরক্ষিত থাকবে। জীবনবীমার বিভিন্ন প্রকার ও সুবিধা সম্পর্কে সচেতন হয়ে আপনি আপনার প্রয়োজনীয়তার জন্য সঠিক বীমা পরিকল্পনা নির্বাচন করতে সক্ষম হবেন।
কোন মন্তব্য নেই