পরিপাক তন্ত্র ও এর কাজ কী (What is the digestive system and its function)?
পরিপাক তন্ত্র ও এর কাজ কী (What is the digestive system and its function)?
পরিপাক তন্ত্র ও এর কাজ কী (What is the digestive system and its function)?
প্রাণী পুষ্টি তথা মানুষের পুষ্টি পদ্ধতিতে খাদ্যগ্রহণ, খাদ্যের পরিপাক,পরিপাকলদ্ধ খাদ্যের শােষণ, অপাচ্য খাদ্যবস্তুর বহিস্করণ ইত্যাদি প্রক্রিয়া সংঘটিত করার জন্য বিভিন্ন অঙ্গ বিভিন্ন গ্রন্থি একত্রিত হয়ে যে-তন্ত্র গঠন করে তাকে পৌষ্টিকতন্ত্র বা পাচকতন্ত্র বা পরিপাকতন্ত্র বলে।
(In order to carry out the process of food intake, digestion of food, absorption of digested food, excretion of undigested food, In animal nutrition and human nutrition, the system that various organs and glands combine to form is called nutritional system or digestive system )
প্রাণী পুষ্টি তথা মানুষের পুষ্টি পদ্ধতি ও তার সঙ্গে জড়িত অঙ্গ , বিশেষ করে মানুষের পরিপাক তন্ত্র নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হল . Digestive System , Nutrition, Digestive Organ, Stomach, Dental Formula, Gland, Hcl, Liver, Human Body,environmental studies etc .
পরিপাক তন্ত্র ও এর কাজ কী
পরিপাক তন্ত্র (Digestive System) মানবদেহের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা খাদ্যকে পুষ্টি উপাদানে রূপান্তরিত করে শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি এবং উপাদান সরবরাহ করে। এটি খাদ্য গ্রহণের পর থেকে শুরু করে পুষ্টি শোষণ এবং বর্জ্য নিঃসরণের সমস্ত প্রক্রিয়া পরিচালনা করে।
পরিপাক তন্ত্রের মূল উপাদানগুলির মধ্যে মুখ, গলা, পাকস্থলি, অন্ত্র (ছোট এবং বড়), লিভার, পিত্তথলি, এবং অগ্ন্যাশয় অন্তর্ভুক্ত। এই অঙ্গগুলির সমন্বয়ে খাদ্য পরিপাক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
প্রক্রিয়া:
1. মুখে প্রক্রিয়া: খাদ্য মুখে প্রবেশ করার সাথে সাথে দাঁতের সাহায্যে চূর্ণিত হয় এবং লালার সাহায্যে আংশিকভাবে পরিপাক হতে শুরু করে। লালায় থাকা এনজাইম খাদ্যকে সহজে ভাঙতে সহায়ক।
2.গলায় প্রক্রিয়া: চূর্ণিত খাদ্য গলা দিয়ে খাদ্যনালীতে প্রবাহিত হয় এবং পাকস্থলিতে পৌঁছায়।
3. পাকস্থলিতে প্রক্রিয়া:পাকস্থলিতে খাদ্য আরো বেশি পরিমাণে ভেঙে যায়। পাকস্থলীর প্রাচীর থেকে সেক্রেটেড এসিড এবং এনজাইম খাদ্যকে আরো ছোট উপাদানে ভেঙে দেয়।
4.ছোট অন্ত্রে প্রক্রিয়া: পাকস্থলির পর খাদ্য ছোট অন্ত্রে প্রবাহিত হয় যেখানে প্রধান পরিপাক এবং পুষ্টি শোষণ ঘটে। ছোট অন্ত্রে লিভার থেকে উৎপন্ন পিত্ত এবং অগ্ন্যাশয় থেকে উৎপন্ন এনজাইম খাদ্যকে আরও বেশি ভেঙে দেয়।
5. বড় অন্ত্রে প্রক্রিয়া: এখানে পুষ্টি শোষণের পর অবশিষ্ট অংশ জল শোষিত হয় এবং বর্জ্য পদার্থ প্রস্তুত হয়।
6. বর্জ্য নিঃসরণ: অবশেষে, বর্জ্য পদার্থ বড় অন্ত্রের মাধ্যমে রেকটামে পৌঁছে মল হিসেবে শরীর থেকে বেরিয়ে আসে।
পরিপাক তন্ত্রের সুস্থতা আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ, পর্যাপ্ত পানি পান, এবং নিয়মিত ব্যায়াম এই তন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়ক। সঠিক জীবনযাপন এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে আমরা আমাদের পরিপাক তন্ত্রকে সুস্থ রাখতে পারি এবং ভাল স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারি।
1.হলোজোয়িক পুষ্টি(Holozoic nutrition) : - প্রাণী পুষ্টি কে হলোজোয়িক পুষ্টি বলে ।
2.হলোফাইটিক পুষ্টি(Holophytic nutrition) : – উদ্ভিদ পুষ্টিকে হলোফাইটিক পুষ্টি বলে ।
3.প্রাণী পুষ্টির পর্যায় গুলি হল : – খাদ্যগ্রহন , পরিপাক, শোষন,আত্তীকরন ও বহিঃস্করণ ।
4.মানবদেহে পুষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট পরিপাক নালী (Alimentary canal) :– মুখবিবর,গলবিল,গ্রাসনালী,পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্ত্র ।
5.মানবদেহে পুষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট পরিপাক গ্রন্থি (Digestive Gland) :– লালাগ্রন্থি (প্যারোটিড,সাবম্যাণ্ডিবুলার,সাবলিঙ্গুয়াল ),গ্যাসটিক গ্রন্থি,অগ্ন্যাশয় ,আন্ত্রিক গ্রন্থি ও যকৃৎ ।
6.মানবদেহে চার প্রকারের দাঁত থাকে --- কৃন্তক (incisor) ,ছেদক (canine) , পুরপেষক (premolar) পেষক (molar)
7.মানুষের দন্ত সংকেত (Dental Formula) হল: – I 2/2 C 1/1 PM 2/2 M 3/3
 |
| Human Teeth |
8.মানবদেহের সবচেয়ে কঠিনতম অংশ হল – দাঁতের এনামেল(Enamel)।
9.মানবদেহের পৌষ্টিকনালীর (Alimentary canal) দৈর্ঘ্য :– 8 মিটার -10 মিটার।
10.মানবদেহের গ্রাসনালীর খাদ্য গলাধকরণের সময় ক্রমসংকোচন (Peristalsis) দেখা যায় ।
11.পাকস্থলীর (Stomach)অক্সিনটিক কোশ (Oxyntic cell) থেকে HCL নিঃসৃত হয় ।
12.পাকস্থলীর পেপটিক কোশ (Peptic cells) থেকে পেপসিন নিঃসৃত হয় ।
13.পাকস্থলীতে কেবলমাত্র প্রোটিন ও ফ্যাট জাতীয় খাদ্য পরিপাক হয় ।
14.মানবদেহের ক্ষুদ্রান্ত্রের (Small intestine)দৈর্ঘ্য : – 6 মিটার -7 মিটার ।
15.শোষন তল বাড়ানোর জন্য ক্ষুদ্রান্ত্রের মধ্যে ভিল্লি (Villi) দেখা যায় ।
16.ভিলাসের কেন্দ্রে যে লসিকাবাহ থাকে তাকে ল্যাকটিয়াল (Lacteal) বা পয়ঃস্বীনি বলে ।
17.কুফারের কোশ (Kupffer cell) দেখা যায় যকৃতে ।
18.মানুষের বৃহদন্ত্রের সঙ্গে নিষ্ক্রিয় অঙ্গ অ্যাপেনডিক্স (Vermiform appendix) যুক্ত থাকে ।
19.গবলেট কোশ (Goblet cell) বৃহদন্ত্রে দেখা যায় ।
20.দেহের সবচেয়ে বড় পরিপাক গ্রন্থি হল যকৃৎ (Liver) ।
21.মানব অগ্ন্যাশয়ে (Pancreas) তিন ধরনের কোশ দেখা যায়,যথা –আলফা কোশ,বিটা কোশ,ডেল্টা কোশ ।
22.মানবদেহে যকৃতে ইউরিয়ার সংশ্লেষ ঘটে ।
23.মানব জিহ্বার উপরিতল অসংখ্য পীড়কার বা স্বাদকোরকের উপস্থিতির জন্য অমসৃন হয় ।
24.প্যানেথ কোশ (Paneth cell) থাকে আন্ত্রিক গ্রন্থিতে ।
25.মানব জিহ্বাই স্বাদকোরক (Taste bud) থাকে প্রায় :– 2000-8000 টি ।
26.লাইবারকুনের গ্রন্থি (Crypts of Lieberkuhn) দেখা যায় ক্ষুদ্রান্ত্রে ।
27.ব্রুনারের গ্রন্থি (Brunner's gland) দেখা যায় ডিওডিনামের অধঃশ্লেষ্মাস্তরে ।
28.যকৃৎ থেকে ক্ষরিত রসকেই পিত্ত (Bile) বলে ।
29.মানবদেহের লালাগ্রন্থিতে দুই প্রকার কোশ থাকে, যথা – সেরাস কোশ (Serous cell) ও মিউকাস কোশ (Mucous cell) ।
30.যকৃৎকে মানবদেহের সুসজ্জিত জৈব রসায়নগার বলা হয় ।
POST টি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
POST টি যদি ভালো লেগে থাকলে comment ও share করার অনুরোধ রইল।
তথ্য সূত্র-
1.উচ্চত্তর জীববিদ্যা- সেন,মিদ্যা ও সাঁতরা
2.জীবনবিজ্ঞান ও পরিবেশ - ছায়া প্রকাশনী
ও ইন্টারনেট সার্চ ।
1.উচ্চত্তর জীববিদ্যা- সেন,মিদ্যা ও সাঁতরা
2.জীবনবিজ্ঞান ও পরিবেশ - ছায়া প্রকাশনী
ও ইন্টারনেট সার্চ ।
pic - pixabay
কোন মন্তব্য নেই