Radioactive pollution facts,তেজস্ক্রিয় দূষণ কী?
আমরা জানব Radioactive pollution facts, Radioactive pollution, Major radioactive pollutants, Source of radioactive pollution, The effects of radioactive pollution, Radioactive pollution control.
ভূমিকা -
ভূমিকা -
মানুষের হাতে এর প্রকৃতি পরিবেশ ও মানুষের জীবন কত ভয়াবহ ভাবে বিপর্যস্ত হতে পারে তার একটা নিষ্ঠুর উদাহরণ তেজস্ক্রিয় দূষণ । তেজস্ক্রিয় দূষণের তার জল, বায়ু্,মাটিও আকাশ সবই দূষিত হয়. চরিত্র গত পার্থক্য ও ভয়াবহতার কারণে এই ধরনের দূষণ আলোচনা করার দরকার।
আমরা জানি প্রতিটি পদার্থের ক্ষুদ্রতম রূপ হল অনু । এটি একাধিক পরমাণু দিয়ে গঠিত । তেজস্ক্রিয় পদার্থেরপরমাণু নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেকট্রন ,প্রোটনও নিউটন এর মত পারমাণবিক কণিকা দিয়ে তৈরি, সাধারণভাবে মৌলিক পদার্থ গুলি স্থায়ীঅবস্থায়পৃথিবীতে পাওয়া, কিন্তু তাদের কিছু কিছু অস্থায়ী অবস্থা ও থাকে, এখন অস্থায়ী অবস্থা থেকে স্থায়ীঅবস্থায় রূপে ফিরে আসার চেষ্টা করে, আর সেটি সম্ভব হয় পারমাণবিক কণিকা ত্যাগ করার মাধ্যমে ,একইসঙ্গে সেত্যাগ করে শক্তি ,এই ধরনের পদার্থ কে বলে তেজস্ক্রিয় পদার্থ । এটি পরিবেশের যা স্বাভাবিক ঘটনা তেজস্ক্রিয়তাবলে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভেঙে গিয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ তৈরি করে মানুষ সহ সমস্ত প্রাণী ও উদ্ভিদের পক্ষে ক্ষতিকর । অনেক সময় এই কণা ও তরঙ্গ অতি অল্প সময়ে এতো অস্বাভাবিক মাত্রায় বেশি তৈরি হয় যে পরিবেশের স্বাভাবিক তেজস্ক্রিয় তার তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পায় তেজস্ক্রিয় দূষণ বলে ।
আইনস্টাইনের সেই বিখ্যাত সূত্রের জানা গেছে যে .......
E= MC2
যেখানেE হল Energy,M হলMass ,C হল Velocity of Light.
Radioactive pollution facts
আর তাকে কাজে লাগিয়ে বিশেষ প্রযুক্তিগত কৌশল এর সাহায্যে মৌলিক পদার্থের ওই ধরনের অস্থায়ী অবস্থাকে ব্যবহার বিপুল পরিমাণ শক্তি পাওয়ার উপায় মানুষ আয়ত্ত করেছে, এই ভালো উৎপন্ন বিকিরণের শক্তি কে বলা হয় পারমাণবিক শক্তি । আর এই ধরনের শক্তি পেতে গিয়ে অনেক বেশি পরিমাণ তেজস্ক্রিয় অস্থায়ী মৌলিক পদার্থকেব্যবহার করতে হচ্ছে ।আরে ফলস্বরূপ প্রকৃতির স্বাভাবিক তেজস্ক্রিয় তার চেয়ে বহু গুণ বেশি তেজস্ক্রিয়তা পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ছে এবং ভয়াবহ করছে । তেজস্ক্রিয় দূষণের ঘটনা হচ্ছেবিকিরণ দূষণ । বিকিরণের অর্থ অত্যন্ত উচ্চ শক্তি ধারণ করে যা কিছু জীবন্ত জিনিসের জন্য কয়েকটি উপকরণ আয়নীকরণ করতে পারে এবং সেই ক্ষেত্রে এটি মানুষের জন্য খুবই বিপজ্জনক পাশাপাশি অন্যান্য জীব জন্তু , উদ্ভিদ এবং সমস্ত প্রাণীকুলের জন্য খুবই বিপজ্জনক । এই ধরনের বিকিরণকে দূষণের ভাণ্ডার রূপে বিবেচনা করা যেতে পারে, যেমন বিকিরণ দূষণ , সৌর বিকিরণ দূষণ ।
Also Read : জল দূষণ(Water Pollution), Air Pollution
নিউক্লিও সংযোজন ও বিভাজন-
প্রাকৃতিক ও মানবিক ক্রিয়াকলাপের ফলে মৌল বা তেজস্ক্রিয় মৌলের আয়নীকরন ঘটে এবং বিকিরণের পর যে কোনো রূপের ছড়িয়ে পড়ে ।তাই এই বিকিরণ দূষণ এবং কিছু বিকিরণ দ্বারা উৎপাদিত উপাদানগুলির মধ্যে হল প্লুটোনিয়াম,সিজিয়াম , ফ্র্যান্সিয়াম ও ইউরেনিয়াম প্রভৃতি। এরা নিজেদের ক্যান্সার কোষে প্রবেশ করার জন্য সেল ফাংশনকে ধ্বংস করে। এই Radioactive পরমাণুগুলির নিউক্লিয়াস ভেঙে এবং ইলেকট্রনগুলির নির্গমণে পারমাণবিক শক্তির সম্ভাবনা তৈরি হয় ।নিউক্লিয়াসের চারপাশে যদি ইলেক্ট্রন বিক্রিয়াতে অংশ নিচ্ছে তবে আমরা বলতে পারি এটি একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া কিন্তু নিউক্লিয়াস বিক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছে তখন আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এটি একটি পারমাণবিক বিক্রিয়া,তাই দুটি ধরনের রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া রয়েছে যার মধ্যে ইলেকট্রন জড়িত থাকে এবং নিউক্লিয়াস এবং দুটিদুই ধরনের পারমাণবিক বিক্রিয়াও হয়,যেমন- বিভাজন এবং সংযোজন।। মানে যখন একটি বড় নিউক্লিয়াস ক্ষুদ্র নিউক্লিয়াসে ভেঙে যায় তখন আমরা বিভাজন বিক্রিয়া বলি ।
চেইন বিক্রিয়া-
যখন দুটি ছোট নিউক্লিয়াস একত্রিত হয়ে বড় আকারে নিউক্লিয়াস গঠন করতে পারে তবে সংযোজন বিক্রিয়া বলি । সাধারণত সংযোজন বিক্রিয়া হল সূর্যের পারমানবিক বিক্রিয়া । হাইড্রোজেন পরমাণুর নিউক্লিয়াস একটি হিলিয়াম নিউক্লিয়াস তৈরি করার জন্য একত্রিত হ'য় । আমরা শুধুমাত্র এক নিউক্লিয়াসের বিক্রিয়া শুরু করি এবং এটি নিজে থেকেই চলতে পারে একে চেইন বিক্রিয়া বলে ।
একটি ইউরেনিয়াম 235 পরমানু নিউট্রন দ্বারা ভেঙ্গে যাবার সময় দুটি নিউক্লিয়িতে ভেঙ্গে যায়। নিউট্রনটি আরও তিনটি নিউট্রন তৈরি করে এবং এই তিনটি নিউট্রন আবার নতুন ইউরেনিয়াম 235 কে ভেঙে দেয় এবং ধারাবাহিক বিক্রিয়া থাকে । তবে উপাদানটিতে আর ইউরেনিয়াম পাওয়া যায় না, এমনকি যদি আমরা একটি নিউক্লিয়াসের সাথে বিক্রিয়াকরে থাকি তবে এটি সমস্ত নিউক্লিয়াসের সাথে সম্পন্ন হয় এবং এই ধরনের প্রতিক্রিয়া চেইন রিঅ্যাকশন হিসাবে বন্ধ করা খুব কঠিন কারণ কারণ নিউট্রন উত্পাদিত হলে নিউট্রনগুলি আবার একই পক্রিয়া নিজেরাই চালিয়ে যায় । চেইন বিক্রিয়া বন্ধ করি ইউরেনিয়াম পরমানু সরিয়ে এবং আমরা ব্যবহার করি বোরন, সিলিকন মতো মৌল গুলি। সমস্ত উপকরণ গুলির দ্বারা তৈরি কন্ট্রোল রোবট গুলি ব্যবহার করছি যা নিউট্রনকে শোষণ করতে পারে । সেখানে তাপ প্রচুর পরিমাণে তৈরি হতে পারে এবং তেজস্ক্রিয় ধাতু ব্যবহার করা হয় যাতে থাইরয়েড ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং সাদা রক্তের শূন্যতা হ্রাস পায়।
Also Read : জল দূষণ(Water Pollution)
একটি ইউরেনিয়াম 235 পরমানু নিউট্রন দ্বারা ভেঙ্গে যাবার সময় দুটি নিউক্লিয়িতে ভেঙ্গে যায়। নিউট্রনটি আরও তিনটি নিউট্রন তৈরি করে এবং এই তিনটি নিউট্রন আবার নতুন ইউরেনিয়াম 235 কে ভেঙে দেয় এবং ধারাবাহিক বিক্রিয়া থাকে । তবে উপাদানটিতে আর ইউরেনিয়াম পাওয়া যায় না, এমনকি যদি আমরা একটি নিউক্লিয়াসের সাথে বিক্রিয়াকরে থাকি তবে এটি সমস্ত নিউক্লিয়াসের সাথে সম্পন্ন হয় এবং এই ধরনের প্রতিক্রিয়া চেইন রিঅ্যাকশন হিসাবে বন্ধ করা খুব কঠিন কারণ কারণ নিউট্রন উত্পাদিত হলে নিউট্রনগুলি আবার একই পক্রিয়া নিজেরাই চালিয়ে যায় । চেইন বিক্রিয়া বন্ধ করি ইউরেনিয়াম পরমানু সরিয়ে এবং আমরা ব্যবহার করি বোরন, সিলিকন মতো মৌল গুলি। সমস্ত উপকরণ গুলির দ্বারা তৈরি কন্ট্রোল রোবট গুলি ব্যবহার করছি যা নিউট্রনকে শোষণ করতে পারে । সেখানে তাপ প্রচুর পরিমাণে তৈরি হতে পারে এবং তেজস্ক্রিয় ধাতু ব্যবহার করা হয় যাতে থাইরয়েড ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং সাদা রক্তের শূন্যতা হ্রাস পায়।
Also Read : জল দূষণ(Water Pollution)
প্রধান প্রধান তেজস্ক্রিয় দূষণ কারী পদার্থসমূহ -
তেজস্ক্রিয় পদার্থ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে-
আলফা কণা -
তেজস্ক্রিয় মৌলের নিউক্লিয়াস থেকে নির্গত দ্রুতগামী ধনাত্মক আধানবিশিষ্ট কণার স্রোত । কণা প্রকৃতপক্ষে 2একক ধনাত্মক আধানবিশিষ্ট হিলিয়াম আয়ন(He২+ )
বিটা কণা –
তেজস্ক্রিয় মৌলের নিউক্লিয়াস থেকে নির্গত দ্রুতগামী ঋনাত্মক আধানবিশিষ্ট কণার স্রোত।কণা প্রকৃতপক্ষে এক একটি ইলেকটন।
গামা রশ্মি –
তেজস্ক্রিয় মৌলের নিউক্লিয়াস থেকে নির্গত দ্রুতগামী ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ ।যার মধ্যে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন ফোটন কনা বর্তমান।
αβY কণার তুলনা -
গামা রশ্মি ভেদন ক্ষমতা > বিটা কণার ভেদন ক্ষমতা > আলফা কণার ভেদন ক্ষমতা।
আলফা কণার আয়নায়ন ক্ষমতা > বিটা কণার আয়নায়ন ক্ষমতা > গামা রশ্মি আয়নায়ন ক্ষমতা ।
এক্সরশ্মি–
তীব্রগতিবেগ সম্পন্ন ইলেকট্রন প্রবাহ তথা ক্যাথডরশ্মির উচ্চ গলনাংক বিশিষ্ট কোন কঠিন বস্তুকে আঘাত করলে উচ্চ ভেদন শক্তির ও ক্ষুদ্রতম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অদৃশ্য তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ কঠিন বস্তু থেকে নির্গত হয় এক্স রশ্মি বলে । এক্স রশ্মিজীবন্তকোষকেধ্বংস করতে পারে ।
তেজস্ক্রিয় দূষণের উৎস -
মহাজাগতিক রশ্মি থেকে বায়ুমন্ডলে তেজস্ক্রিয় পদার্থ উৎপন্ন হয় ।পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মধ্যে তেজস্ক্রিয় পদার্থ পাওয়া যায় । তেজস্ক্রিয় মৌল গুলি কে কয়টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যেমন রেডিয়াম ,রেডন , রেডিয়াম এছাড়াও ইউরেনিয়াম , বেরিয়াম ইত্যাদি । পাহাড় ও মাটি থেকে তেজস্ক্রিয়তা সামান্য পরিমাণে বেরোয় ,এর ফলে প্রাকৃতিক ভাবে তেজস্ক্রিয়তা আমরা পাই কিন্তু তার সমস্ত অতি নগন্য ।
পরমাণু অস্ত্র বিস্ফোরণ -
যুদ্ধেরপ্রয়োজনে বর্তমানে পৃথিবীতে অনেক বেশি বিপুল পরিমাণ পরমাণু অস্ত্র তৈরি করেছে ।যুদ্ধের সময়বাপরীক্ষামুলকভাবে সেই বিস্ফোরণ ঘটালে তার থেকে স্বল্প সময়ে বিপুল পরিমাণ তেজস্ক্রিয়তা পরিবেশে নির্গত হয় । এর ফলে বায়ু, জল, মাটি সব তেজস্ক্রিয়তায় দূষিত হয়। মাটির নিচে সমুদ্র বা নির্জন দ্বীপে সেই ধরনের বিভিন্ন পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটে তার স্থানকে শুধু দূষিত করে তা নয় , বহুদূর প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের এবং পরিবেশের পারমাণবিক বোমা অর্থাৎ তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব খুব ধ্বংসাত্মক। আগস্ট 1945 সালে জাপানে হিরোশিমা ও নাগাসাকির উপর বোমা পরমাণু ফেলা হয়। পরমাণু বোমাগুলিতে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় পদার্থ খুব ধ্বংসাত্মক, যার ক্ষয় ক্ষতি কলপনার বাইরে। এখন পর্যন্ত জাপানে তার প্রভাব লক্ষ্য করা যায় ।বিশ্বের ইতিহাসে এটি একটি মারাত্মক তেজস্ক্রিয় বিষ্ফোরণ ও তেজস্ক্রিয় দূষণ।
স্বাভাবিকভাবেই মানুষ স্বয়ংক্রিয় জ্বালানী ব্যবহার করে । মানুষের ক্রিয়াকলাপ থেকে দূষণ বাড়ায় তেজস্ক্রিয় পদার্থ । পরিবেশের বিকিরণ দুটি প্রকারের প্রাকৃতিক বিকিরণে এবং মহাসাগর থেকে পৃথিবীর উপরিভাগে এক মহাজাগতিক বিকিরণ এবং প্রাকৃতিক দুটি প্রাকৃতিক ভূমিকম্প পৃথিবীর থেকে ও মানুষের তৈরি রেডিওসোটোপগুলি রেডিয়েশানগুলি তেজস্ক্রিয় পদার্থের ব্যবহার থেকে উদ্ভূত হয়। এই পদার্থ পারমাণবিক অস্ত্র পরমাণু জ্বালানি উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয় এবং বৈদ্যুতিক শক্তি চুল্লীতে পারমাণবিক জ্বালানী দূষণ সৃষ্টি করে। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন বিদারণের সময় প্রদত্ত তাপটি বিদ্যুৎ রূপে রূপান্তরিত হয় দুটি ধরনের বর্জ্য,তেজস্ক্রিয় বর্জ্য দূষণ দূষণ সৃষ্টি করে ।
পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারখানা
ভারতবর্ষের সহ পৃথিবীর নানা দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পরমাণু শক্তি কে ব্যবহার করা হচ্ছে । তারপর সবাই কেমন আছে ফল বোঝাতে ও কি ক্ষতিকরছে এই ধরনের এসব কারখানায় বর্জ্য পদার্থ যথেষ্ট যথেষ্ট পরিমাণে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পদার্থ নির্গত করে। অনেক সময় এইসব দূষিত পদার্থ মাটির গভীরে পুঁতে দেওয়া হয় কিন্তু সেখানেও তেজস্ক্রিয় পদার্থ গুলি দীর্ঘকাল সক্রিয় থাকে এবং থেকে মাটির জল নদীর জল বা সমুদ্রের জলে তেজস্ক্রিয়দূষণ ঘটায়।
পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন
সমস্ত পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি প্রধান চুল্লী যেখানে সাধারণত এই শৃঙ্খল বিক্রিয়া ঘটছে এবং তাদের নিয়ন্ত্রণ তেজস্ক্রিয় মৌল ওনিউট্রন যার দ্বারা আমরা চেইন বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারি । এই চুল্লিতে এটি উৎপন্ন তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বাষ্প চেম্বারে স্থানান্তর করা হয় এবং এটি কোথায় ব্যবহৃত হয় জল ও জল উত্তোলন করা। এখন জল বাষ্পে রূপান্তরিত হয় এবং টারবাইন ব্যবহৃত হয় এবং তার সঞ্চালনকে রিএক্টরতে ফেরত দেয় বলে মনে হয় সাধারণত এটি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং একটি পারমাণবিক বিক্রিয়া তখন নিয়ন্ত্রণ হয় এবং এই ধরনের বিস্ফোরণ সম্ভব হয় এবং এটি পারমাণবিক বিস্ফোরণের কারণ হিসাবে পরিচিত। পারমানবিক দুর্ঘটনার প্রথম কারণগুলি হল নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরগুলির । প্রাথমিক ভাবে এটি নিরাপদ কারণ এটিতে ব্যবহৃত সমস্ত উপকরণ এবং কোন বর্জ্য পণ্য উত্পন্ন হয় না । তবে যদি তাদের দুর্ঘটনা ঘটে তবে বায়ুমণ্ডলে মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে এবং এর মূল কারণগুলি কী কেবল যদি এটি বিপজ্জনক হয় পারমাণবিক দুর্ঘটনা ।
পারমাণবিক চুল্লি
2011 সালে যে প্রধান পারমানবিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল তার মতো অনেক উদাহরণ রয়েছে এবং পারমাণবিক চুল্লির ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা যে পারমাণবিক চুল্লীটি ধ্বংস করে এবং সেটি হ'ল পারমাণবিক বিক্রিয়া। নিয়ন্ত্রক যদি একজন ব্যক্তির অনুসরণযোগ্য হয় তবে চেরনোবিল ডিজাস্টারের জন্য পারমাণবিক দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে এবং তারপরে পারমানবিক চুল্লীর কাঠামোর জন্য 40 টি উপকরণ আছে কিনা তা সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে না, যাতে উপযুক্ত উপকরণ পাওয়া না গেলেও পারমাণবিক দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এও সিস্টেমটি যদি সঠিকভাবে কাজ না করে তবে সিস্টেমের শেষ ত্রুটিটি হল 1986 সালে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাটি এবং এটি মানব ত্রুটির কারণে হয়েছিল ।
Also Read : Air Pollutionহাসপাতাল ও পরীক্ষাগার
ক্যান্সার,কোন মারাত্মক ক্ষতিকারক ক্ষত যেগুলিকে তেজস্ক্রিয় রে দ্বারা এবং তার কোষ গুলিকে মেরে ফেলাতে নানা ধরনের তেজস্ক্রিয় পদার্থ ব্যবহৃত হয় এসব হাসপাতালে তা করা হয় সেই সব হাসপাতালের সতর্ক না থাকলে সেই বর্জ্য পদার্থ থেকে তেজস্ক্রিয়দূষণ ঘটতে পারে এটা যারা পরীক্ষা করে তাদের ক্ষেত্রে খুবই বিপদজনক।
এক্সরে
রোগ নিবারণ এর জন্য শরীরের নানা স্থানের উক্ত সময়ে কিছু পরিমাণ তেজস্ক্রিয় তো আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। শরীরের কোথায় কোনঅবাঞ্ছিতবস্তুবাকোনসমস্যাআছেকিনাজানতেব্যবহারকরারসময়ে কিছু পরিমাণ তেজস্ক্রিয় কনা আমাদের শরীরে প্রবেশ করে।
তেজস্ক্রিয়তারঅনুমোদনযোগ্য মাত্রা-
তেজস্ক্রিয়তার সর্বোচ্চ সীমা পৃথিবীতে তেজস্ক্রিয়তার অনুমোদনযোগ্য মাত্রা হল ইন্টারন্যাশনাল ক্ষেত্রে -গর্ভস্থ ভ্রূণ ও শিশুর ৩ রেম ও পূর্ণাঙ্গ মানুষ এর ৫ রেম ।
তেজস্ক্রিয়তা জনিত দূষণের প্রভাব
ভয়াবহ তার বিচারের সবচাইতে বেশি মারাত্মক।অন্য ধরনের দূষণের থেকে এর ভয়ংকরতাবেশী। অন্যদূষণেরথেকেপার্থক্য হলোএরদীর্ঘস্থায়ী।অন্য ধরনের দূষণেরপ্রভাবকিছুদিন থাকে কিন্তুতেজস্ক্রিয় দূষণের প্রভাব বহুদিন থাকো। এর উৎস বন্ধ হলেও কিছুদিন পরে তাদের কমতে থাকে, একবার ঘটে গেলে তার অনেক দিন সময় ধরে এমনকি কয়েক মাসও হাজার বছর ধরে থাকতে পারো।
ক্যান্সার
তেজস্ক্রিয়তা জনিত দূষণের কারনে শরীরের সব অংশক্যানসারহতেপারে। রক্তে ক্যান্সারের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি এছাড়া ফুসফুস লালা গ্রন্থি, থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ইত্যাদিতেহতেপারে। তেজস্ক্রিয় রশ্মি অস্থি মজ্জাকে বিপর্যস্তকরে।সেই অস্থি মজ্জা থেকেstem cell পাওয়া যায়। যেগুলি cord blood থেকে পাওয়া যায়।এই শ্বেত কণিকা শরীরের তৈরি হয়ে রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিরোধে ক্ষমতা গড়ে তোলে। তেজস্ক্রিয়তা জনিত দূষণের প্রভাবেশরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। তেজস্ক্রিয়তা জনিত দূষণের প্রভাবিতএলাকায় মানুষ ফুসফুসের প্রদাহজনিতঅসুখে,নিউমোনিয়াসহ জীবাণু সংক্রমণ জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
জীন এর বিকৃতি-
তেজস্ক্রিয় দূষণ গর্ভের শিশুকে রেখায় দেয় না । আয়নিকরণ এর মাধ্যমে মাতৃগর্ভের শিশুর জীনের ডি এন এ অণুর মিউটেশন ঘটায় , ফলে মৃত বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হয়। একেবারে নারী ও পুরুষের জনন কোষের বিকৃতি ঘটায় ফলে পরবর্তী প্রজন্মে শিশুর শারীরিক নানা বিকৃতি ঘটতে থাকে ।
Also Read : Air Pollution
বন্ধ্যাত্ব
পুরুষের তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব এর ফলে জনন কোষে মিউটেশন ঘটে ও জনন কোষ নষ্ট হয়ে যেতে পারে বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি হয়।
অনুচক্রিকার সংখ্যা -
তেজস্ক্রিয়তারএকটু বেশি হলে রক্তে অনুচক্রিকার সংখ্যা কমে যায়।ফলে রক্তের তঞ্চন কাল বেড়ে যায়। তেজস্ক্রিয়তায় শুধু মানুষ নয় , তেজস্ক্রিয় দূষণ উদ্ভিদের বৃদ্ধিব্যাঘাত ঘটায় ও ব্যাপকদূষণছড়ায়।এর ফলে সবরকম ফুল ফল শাকসবজি গুণমান কমতৈ থাকে। সব মিলিয়ে পারোমানবিক তেজস্ক্রিয় দূষণ ব্যাপকপৃথিবীতে দূষণসৃষ্টিকরে।
এছাড়া বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থ বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে যেমন-
সিজিয়াম- 137 এর প্রভাবে শারীরবৃত্তীয় কার্যপদ্ধতি ব্যাহত হয় ,আয়োডিন- 131 এর প্রভাবে থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দেয়, রক্তে ক্যানসার ও হতে পারে তেজস্ক্রিয় মৌল স্ট্রনসিয়াম-90 এর কারণে। তেজস্ক্রিয় দূষণের ফলে কলার মানুষের দেহ কলার বিভাজন হ্রাস পায় এবং ক্রোমোজোম ও জনন কোষে মিউটেশন ঘটে ফলে নানা প্রকার বিকৃতি দেখা যা পরবর্তী প্রজন্মের বাহিত হয় । দীর্ঘ সময় ধরে বেশি মাত্রায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণের সংস্পর্শে থাকলে লিউকিমিয়া ,অস্থি টিউমার , ফুসফুসে ক্যানসার ও নানা রকম স্নায়ুবিক গোলযোগ ইত্যাদি হয়।
তেজস্ক্রিয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ--
প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয় তাকে আমরা কমাতে পারি না এর পরিমাণ এর মাত্রা এমন কিছু কমাতে পারি। মানুষের তৈরি করা ভয়ংকর মাত্রায় তেজস্ক্রিয় দূষণ মানুষ কি কমিয়ে দিতে পারে এই ব্যাপারটি শুধু বিশেষ একজন ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে না। রাষ্ট্রের পরিচালকমণ্ডলীর উপর নির্ভর করে ।নাগরিক হিসেবে আমাদের এ ব্যাপারে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারি কেমন প্রযুক্তিগত উপায় তেজস্ক্রিয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে পারি ।
উপসংহার -
পারমাণবিক ঘটনা সমূহ যেমন সমগ্র পৃথিবীতে পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে।নতুন করে পারমাণবিক অস্ত্র জানো তৈরি না হয় ।পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে, প্রাকৃতিক জ্বালানি পরিমাণ সীমিত হলেও তার বিকল্প হিসাবে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার বাড়ছে কিন্তু এখন পর্যন্তর এইশক্তি সম্পদ বিপদমুক্ত নয় । উপযুক্ত গবেষণায় তেজস্ক্রিয় দূষণ মুক্ত উপাদান বা পদ্ধতি গড়ে তোলাসহ দরকার সেগুলি তেজস্ক্রিয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চলছে তাদের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার যাতে করে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পদার্থ তেজস্ক্রিয় দূষণ ঘটাতে না পারে ।ব্যক্তিগত উপায় তেজস্ক্রিয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে যেমন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কি করে কমায় তেজস্ক্রিয়তার ও সমস্যা সমাধানে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। অন্যায় এর বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে হবে । তেজস্ক্রিয় দূষণ সংক্রান্ত সেমিনার, বক্তৃতা ,স্যোসাল মিডিয়াতে , প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা ইত্যাদি বিশেষ করা যেতে পারে ।সর্বোপরি আইনগত বিশ্ব চুক্তি অর্থাৎ প্রোটোকল উপায় অবলম্বন করে তেজস্ক্রিয়দূষণ নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব ।গ্রন্থপঞ্জী- Radioactive pollution facts
1.মন্ডল ডঃ চৈতন্য "সমাজবিজ্ঞন শিক্ষন পদ্ধতির রূপরেখা "রীতা পাবলিকেশন।
2.পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষক পর্ষদ "আমাদের পৃথিবী" সপ্তম শ্রেণী।
3."জীবনবিজ্ঞ।ন ও পরিবেশ "শুভ্রনীল চক্রবর্তী।দশম শ্রেণী।
4.হাজরা ,ডঃ যুধিষ্টীর ,দাস অধ্যাপক দুলাল,"আধুনিক ভূগোল" বুক ইণ্ডিয়া।
1.মন্ডল ডঃ চৈতন্য "সমাজবিজ্ঞন শিক্ষন পদ্ধতির রূপরেখা "রীতা পাবলিকেশন।
2.পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষক পর্ষদ "আমাদের পৃথিবী" সপ্তম শ্রেণী।
3."জীবনবিজ্ঞ।ন ও পরিবেশ "শুভ্রনীল চক্রবর্তী।দশম শ্রেণী।
4.হাজরা ,ডঃ যুধিষ্টীর ,দাস অধ্যাপক দুলাল,"আধুনিক ভূগোল" বুক ইণ্ডিয়া।
5. পরিবেশ - ড় অনীশ চট্টোপাধ্যায়।
Also Read : জল দূষণ(Water Pollution)6.PIC:- Pixabay
কোন মন্তব্য নেই